চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের উত্তর চরবড়ালী মহব্বত আলী পাটোওয়ারী বাড়ির সংলগ্ন পোঁয়া খালের উপর নির্মিত কালভার্টটি সাধারণ মানুষের যাতায়াতে কোনো কাজে আসছে না। দুই পাশের সংযোগ সড়কে মাটি না দেওয়ায় গত ৩ বছর ধরে সেতুটির ওপর দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের উত্তর চরবড়ালী ও দক্ষিণ চরবড়ালী সংলগ্ন কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে চরবড়ালী থেকে রামপুর সড়কের চরপোঁয়া খালের উপর কালভার্ট নির্মিাণ করা হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয়ের অর্থায়নে কালভার্টটি তৈরিতে ব্যয় হয় ১৫ লাখ ৯১ হাজার ৭৫৩ টাকা। নির্মাণের ৩ বছর পার হয়ে গেলেও এখনো দুই পাশের এপ্রোচে মাটি দেননি ঠিকাদার ও জনপ্রতিনিধিসহ কর্তৃপক্ষ।
উত্তর চরবড়ালী গ্রামের বাসিন্দা রিকন মিয়া, টিটু, জাহাঙ্গীর, ফয়সালসহ অনেকই জানান, এপ্রোচের মাটি যতটুকু দেওয়ার কথা তা না দেওয়ায় কালভার্টটি কোনো কাজে আসছে না।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস ইউ এন্টাপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী কামাল হোসেন বলেন, ‘এপ্রোচের মাটি দেওয়া হয়েছে। হয়তো মাটি এখন সরে গেছে। আমি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে গিয়ে কালভার্টটি দেখে আসবো।’
ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন রিপন বলেন, ‘উত্তরচরবড়ালী পোঁয়া খালের উপর কালভার্ট নির্মাণ করা হলেও তার এপ্রোচে মাটি না থাকায় কারো কোনো কাজে আসছেনা। লোকজনের যাতায়াতের সুবিধার্থে কালভার্টটির এপ্রোচে মাটি দিয়ে কিছু দিনের মধ্যে ভরাট করে দেবো।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিল্টন দস্তগার জানান, ‘অনেকদিন আগে পোঁয়া খালের উপর কালভার্ট করা হয়েছে। দুই পাশে এপ্রোচের মাটি সরে গেছে। আমি এক সপ্তাহের মধ্যে মাটি দিয়ে এটি ভরাট করে দেওয়ার চেষ্টা করবো।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।