টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া-পূর্বাসিন্দা সড়কে দেওপাড়া ইউনিয়নের খাকুরিয়ার মেয়াদোত্তীর্ণ ভাঙা ব্রিজটি পুননির্মাণে বিকল্প সড়ক তৈরি না করায় স্থানীয় পর্যায়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় বিক্ষুব্ধরা ব্রিজ ভাঙার কাজ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জানাগেছে, ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া-পূর্বাসিন্দা সড়কে দেওপাড়া ইউনিয়নের খাকুরিয়ার ব্রিজটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে একাংশ ভেঙে যায়। ব্রিজটি পুননির্মানের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) দরপত্র আহ্বান করে।
ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসই সাদিয়া অ্যান্ড সামিয়া জয়েণ্টভেঞ্চারে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চার কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার ৫৪৪টাকা চুক্তিমূল্যে চলতি বছরের ২০ মার্চ কাজ শেষ করার নিমিত্তে কার্যাদেশ পায়।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কাজ না করে স্থানীয় জনৈক সাইফুল ইসলামকে কাজটি করার জন্য সাব-ঠিকাদার নিয়োগ করে। চলতি মাসে সাব-ঠিকাদার বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করেই মেয়াদোত্তীর্ণ ব্রিজটি ভাঙা শুরু করে।
পরে স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে কাঁদা মাটি দিয়ে পায়েহাটা রাস্তা তৈরি করে। এতে প্রতিদিন শ’ শ’ ভ্যান, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মিনি ট্রাক, ট্রাক, প্রাইভেটকার চলাচল করতে পারছেনা।
দীর্ঘ ১০ কিলোমিটার ঘুরে ওইসব যানবাহন ও কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া করতে হচ্ছে। ফলে ওই এলাকার মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছে। যে কোন সময় বিক্ষুব্ধরা ব্রিজ ভাঙার কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
ওই সড়কে চলাচলকারী সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক জাহাঙ্গীর, শফিক, আমিনুর, ভ্যান চালক তাওহিদুল, রাজ্জাক, মিনি ট্রাক চালক রশিদ, জহির উদ্দিন, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক আসাদুল, সুজন, নওশাদ সহ অনেকেই জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
কিন্তু সরু বিকল্প সড়ক তৈরিতে কাঁদা মাটি ব্যবহার করায় মানুষ কোন রকমে পায়ে হেটে চলাচল করতে পারে। কোন যানবাহন চলাচল করতে পারেনা। ফলে ওই ব্রিজের পাশে যাত্রী ও মালামাল নামিয়ে রাখতে হয়। অন্যথায় ১০-১২ কিলোমিটার পথ ঘুরে দেওপাড়া বাজারে যেতে হয়। এতে তারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মুক্তার আলী জানান, তাদের প্রতিবাদের সাব-ঠিকাদার পায়েহাটা বিকল্প সড়ক তৈরি করেছে। কিন্তু কোন ভ্যান-রিকশা বা অটোরিকশা ইত্যাদি চলাচল করতে পারছেনা। তারা মালামাল আনা-নেওয়ার জন্য ভালো বিকল্প সড়ক নির্মাণের দাবি জানান।
সাব-ঠিকাদার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, তারা বিকল্প সড়ক নির্মাণ করেছিলেন। বৃষ্টির কারণে বিকল্প সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী এসে বিকল্প সড়ক নির্মাণের যে নির্দেশনা দিয়েছেন- সে মোতাবেক দ্রুতই বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।