কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ
কেশবপুরে ঘেরের পানি আটকে রেখে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে মাছ চাষ করলে ঘের মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া মাছের ঘেরের কারণে মানুষের বাড়ি ঘরে যাতে পানি উঠে ভোগান্তি না হয় সে লক্ষে ঘের মালিকদের সঙ্গে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, সম্প্রতি টানা বৃষ্টি ও অপরিকল্পিত মাছের ঘেরের কারণে পানি অপসারণ না হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এছাড়া মানুষের বাড়ি ঘরে পানি উঠে আসায় সে সমস্ত এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ে। ঘেরের পানি অপসারণ করলে এ অবস্থার সৃষ্টি হবে না বলে এলাকাবাসী জানায়। এ জন্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন পানিবন্দি এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদেরকে ঘের মালিকদের ডেকে জরুরি সভা করতে নির্দেশনা দেন।
পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশনায় পাঁজিয়া ইউনিয়নের ১৮ জন মাছের ঘের মালিককে নিয়ে সভা করা হয়েছে। এ সমস্ত ব্যক্তিরা কৃষকের কাছ থেকে জমি হারি নিয়ে মাছের ঘের করে আসছেন। বর্ষা মৌসুমে ঘেরের পানি আটকিয়ে রেখে কোন ঘের মালিক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এমনটি এ সভা থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, সম্প্রতি টানা বৃষ্টিতে মাছের ঘেরের কারণে পানি অপসারিত হতে না পেরে কয়েকটি এলাকায় মানুষের বাড়িতে পানি উঠে আসে। সে সমস্ত এলাকা পরিদর্শন করে পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। মাছের ঘেরের কারণে মানুষের বাড়ি ঘরে আর যাতে পানি উঠে ভোগান্তি না হয় সে লক্ষে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ঘের মালিকদের ডেকে সভা করে নির্দেশনা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।