বাঘারপাড়া (যশোর) থেকে আজম খাঁনঃ অনলাইন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের কারনে এডহক কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরকে আর ডিসি/ইউএনও ও জেলা শিক্ষা অফিসে ধর্না দিতে হবে না। ফলে দেশের প্রথম ডিজিটাল জেলায় অবস্থিত ডিজিটাল কার্যক্রমের দিকে সর্বাপেক্ষা অগ্রসর যশোর শিক্ষা বোর্ড আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
১জুন-২০২১ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডঃ মোল্লা আমির হোসেন তার ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রসংগে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
তিনি নতুন এ নীতমালা প্রসংগে তার ফেসবুকের মাধ্যমে জানান, “এডহক কমিটির আবেদন করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরকে অভিভাবক প্রতিনিধির জন্য জেলা প্রশাসন/ইউএনও অফিসে এবং শিক্ষক প্রতিনিধির জন্য জেলা শিক্ষা অফিস/মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে আর যেতে হবে না। উক্ত দুই অফিস প্রধানের মোবাইল নম্বর ও মেইল আইডি অনলাইন আবেদন ফরমের নির্দিষ্ট স্থানে বসিয়ে দিয়ে অনলাইন পেমেন্টসহ দাখিল করলেই তাদের মোবাইল ও মেইলে মনোনয়ন দেবার লিংক চলে যাবে। সেই লিংককে তারা যথাক্রমে অভিভাবক সদস্য ও শিক্ষক প্রতিনিধির নাম ঠিকানা বসিয়ে সেন্ড করলেই বোর্ড থেকে সভাপতি দিয়ে কমিটি অনুমোদন করবে ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে পত্র জারি হবে, যার কপি প্রতিষ্ঠান প্রধান, জেলা প্রশাসক/ইউএনও এবং জেলা শিক্ষা অফিসার/মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের লিংকে চলে যাবে।
এ সকল প্রতিনিধির জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরকে আর ঐসকল অফিসে আর ধর্ণা ধরতে হবে না।”
একই মাধ্যমে তিনি আরও জানান, “নাম সংশোধনের জন্য প্রশাসনিক তদন্ত আর ম্যানুয়াল হবে না, আবেদনের আইডি থেকেই জেলা প্রশাসকের নিকট আইডি ও পাসওয়ার্ডসহ একটি মেসেজ যাবে, তদন্ত রিপোর্ট তিনি অনলাইনেই দাখিল করবেন, রিপোর্টটি আবেদনকারীর আইডিতে স্থায়ীভাবে থেকে যাবে এবং সে মোতাবেক নিষ্পত্তি হবে। ফলে রিপোর্টটি মিসিংএর আশঙ্কা থাকবে না। রিপোর্টের জন্য পেন্ডিং আইডিগুলোও সহজে চিহ্নিত করা যাবে। কারো ফলস রিপোর্ট দাখিলেরও কোনো সুযোগ থাকবে না।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।