মোঃ ছামিউল ইসলাম, জামালপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ কর্তৃক গরিব ও হতদরিদ্রদের মাঝে মাংস বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে ২২ জুলাই ১১ই জিলহজ তথা ঈদুল আযহার দ্বিতীয় দিন বিকেলে উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের ৭’ শ পরিবারের মাঝে জরাঝির্ণ রোগান্ত গাভী কোরবানি করে। এছাড়াও মাংস বিতরণের তালিকায় অনিয়ম, মাষ্টার রুলে সাথে স্লিপের বেমিল, চাকুরিজীবি, ধনী,ব্যবসায়ী, প্রবাসি, মেম্বার, বড় বড় নেতা, তাদের নামে ও আত্মীয়ককরণ, পরিমাপে নয়- ছয়, সম্পপুর্ণ কবুলিয়ত কোরবানি বিপরীত কর্মকান্ড, তালিকা করণে মাই ম্যান করণসহ অনেক অনিয়ম, স্বজনপ্রীতির মধ্য দিয়ে লোক দেখানো নামে মাত্র স্বার্থসিদ্ধীর জন্য আদ্রা আ: মান্নান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই কর্মকান্ড চলে। সংস্থার উপজেলার হিসাব কর্মকর্তা হাসান বলেন- আমরা শুধু নামে মাত্র। সব কাজ করছে, মেম্বার- চেয়ারম্যান ও স্থানীয় নেতারা।

ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন মেম্বারের সাথে কথা বলে জানা যায়,তাদের তালিকা ও কর্তৃত্ব কিছুই নেই।সংস্থার একজনের আত্মীয়র মাধ্যমে সবকিছু পরিচালনা করছে এতে অনিয়ম হতেই পারে। আদ্রা ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল করিম জানান, আমাকে কিছু কিছু জানিয়েছে, তবে সব কাজ তাদের এজেন্ড ও নির্বাচিত প্রিয়মানুষ দিয়ে পরিচালনা করছে। এতে করে তালিকা,মাস্টার রুলে অনিয়ম দেখা গেছে। ১’ শ এতিমখানা ও১’ উপজেলা পরিষদের নামে বন্টন দেয়া হয়েছে বলে আমাকে জানানো হয়েছে। সেগুলোর অবস্থা কি আমি জানি না।

ভুক্তভুগি জাহানারা( ছদ্ম নাম) নামে এক অসহায় বিধবা বলেন – আমার কোরবানি দেয়ার সমর্থন নেই, ঘরে মেয়ে ছেলে নিয়ে ৬ জন খাওয়ে কোরবানির একটু মাংস দিবে বলে নেতারা আইডিকার্ড নিছে আমিও মাংসর আশায় একটু সবাইকে নিয়ে পেট ভরে খাবো তা আর হলো না। আমার বাড়ীর পাশের বাড়ী ধনী লোকেরা সেই মাংস পেলো আমি পেলাম না। আদ্রা হাইস্কুলে বসে থেকে খালি হাতে বাড়ী ফিরতে ফিরতে এমনই কথা গুলো মনের গভীর থেকে বলছে শত শত সুবিধা বঞ্চিত লোক হা হা কার করে আর্তনাদ করে চোখ মুছতে মুছতে বাড়ি চলে যান।