ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্ষণের বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে এক প্রতিবন্ধী পরিবার। কখনও পুলিশ, কখনও জনপ্রতিনিধি, কখনওবা সাংবাদিকের কাছে বিচার নিয়ে হাজির হচ্ছে পরিবারটি। ঠাকুরগাঁওয়ের প্রত‌্যন্ত গ্রামের এই পরিবারের সদস্য সংখ্যা চার জন। এই পরিবারের প্রতিটি সদস্যই বুদ্ধি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী। কিশোরীর দাদি ভারতী রাণী জানান, গত ০২ সেপ্টেম্বর তার কিশোরী নাতনীকে রেখে পরিবারের সবাই কাজে যায়।

সেই সুযোগে পাশের বাড়ির আদু মিয়া কিশোরীকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার মেম্বার সমঝোতা হবে জানিয়ে চুপ থাকতে বলা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে কোনো বিচার না পেয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর এলাকাবাসীর কাছে বিচার নিয়ে ছুটতে থাকে পরিবারটি। একপর্যায়ে থানায় অভিযোগ করেন তারা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও সদর থানার উপ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, এই বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় মারফত নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার এজাহারে দেখা যায়, ২৫ মে’র ঘটনা উল্লেখ করে মারফত (৫৩) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলায় তাকে ০১ নাম্বার আসামি করেছে। অভিযোগ পেয়েই মারফতকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি ০২ সেপ্টেম্বরে হাতেনাতে ধরা পড়া আদু মিয়াকে (৩০) ০২ নাম্বার আসামি করে পালাতক দেখানো হয়ছে। যদিও আদু মিয়া এলাকায় স্বাভাবিকভাবেই ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, বাবুল মেম্বারের ঘনিষ্ঠ লোক আদু মিয়া। তাই তাকে বাচানোর চেষ্টা করছে সে। আর মারফতের সাথে পূর্ব শত্রুতা থাকায় প্রতিবন্ধী পরিবারের সহায়তা নিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে মেম্বার। এদিকে প্রতিবন্ধী কিশোরী জানান, মেম্বার দাদু মারফতের নাম বলতে বলেছে। জগন্নাথপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলাল মাষ্টার বলেন, ঘটনাটি আমার কানে এসেছে। তবে এখনো বিস্তারিত জানিনা। খোঁজ নিয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো।