আকাশ রহমান, ঠাকুরগাঁওঃ চলতি আমন মৌসুমে রুহিয়ায় বেশি দামে সার বিক্রিয়ের অভিযোগ উঠেছে। ট্রিপল সুপার ফসফেট(টি এস পি) ৫০কেজি বস্তায় দাম বেড়েছে ২৫০টাকা থেকে ২৮০টাকা পর্যন্ত। পাশাপাশি অনান্য সারের দাম বেড়েছে বস্তা প্রতি ৪০-৫০টাকা।

কৃষকদের দাবি অধিক মুনাফা লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট দেখাচ্ছেন। অপর দিকে ব্যবসায়ীরা বিষয়টা অস্বীকার করে জানান ঈদের ও শুক্রবার শনিবার ছুটি থাকায় সার তুলা সম্ভব হয় নাই। সরেজমিনে রুহিয়া থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, কৃষক আমন ধান রোপন শেষে আগাছা নাশক এর পাশাপাশি সার প্রয়োগে করছেন। কেউবা আবার সারের দাম হ্রাসের অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।

আবার অনেকই বলছেন সার কিনতে গেলে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা সারের সংকটের কথা বলে বেশীদাম চাচ্ছে। কৃষক কাসেম জানান, চলতি মৌসুমে ১ একর জমিতে ধান চাষ করেছি। টি এস পি সারের দাম অনেক বেশি থাকায় ধানের জমিতে চাহিদা মাফিক সার প্রয়োগ করতে পারিনি।

এক বস্তা সারের দাম ১৪০০ টাকা চাচ্ছে। আব্দুল মান্নান নামে আরেক কৃষক জানান, দুদিন আগতে আমন ধান বাড়ি দিবার তানে মুই সার কিনছু (ক্রয় করেছি) সারের দোকান্দার (ব্যবসায়ীরা) কহেচে সারের ঘাটতি। যার তানে প্রতি টা টি এস পি সারের বস্তায় ২৬০টাকা বেশি ডামে কিনছু। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কয়েক জন কৃষক বলছেন, বাজারে সার কিনতে গেলে সার ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা সারের সংকটের কথা বলেন।

দোকানে মূল্যতালিকা টাঙিয়ে রাখা দামে সার ক্রয় করতে চাইলে বা রশিদ চাইলে সার নাই বলছেন ব্যবসায়ীরা। তবে তাদের প্রতি বস্তায় বেশি দাম দিলেই সার বের করে দিচ্ছেন। রুহিয়ার বিসি আই সি’র সার ডিলার পুরুষোতম আগরওয়াল জানা, গোডাউনে ইউরিয়া সার ব্যতীত কোন সার নেই।

আমরা চাহিদা মাফিক টিএসপি সার পাচ্ছিনা। আমাদের দু একে দিনের মাঝে সার আসবে তারপর পাবেন। কৃষককে বাইরে কোন দোকানে বেশীদামে সার নিয়ে প্রতারিত না হয়ে সরাসরি আমার গোডাউনে এসে সার ক্রয় আহবান জানাচ্ছি।

সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষ্ণ রায় বলেন,টিএসপি সার মজুদ রয়েছে মাঝখানটায় কয়েকটা দিন ঈদের ছুটির জন্য একটু সমস্যা হয়েছিল।আমরা টিএসপি সারের পরিবর্তে ডিএপি সার ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করতেছি। রুহিয়া কেউ বেশি দামে সার বিক্রি করলে এবং কোনো কৃষক অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা বাজার মনিটরিং করতেছি।