এপাড় ভেঙ্গে ওপার গড়া, এই তো নদীর খেলা। লাইনটির সাথে মিলে যায়,নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদীর ধার ঘেঁষে গড়ে ওঠা,খোগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন, টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন,গয়াবাড়ি ইউনিয়ন,ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়ন ও খালিশা চাপানী ইউনিয়নের পূর্ব বাইশ পুকুর গ্রামের নদী ভাঙনের দৃশ্য ।

আগর বন্যায় তিস্তা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে অন্যান্য গ্রামের পাশাপাশি মারাত্মক ঝুকিতে রয়েছে উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের পূর্ব বাইশ পুকুর গ্রামটি। তুলনামূলকভাবে পরিমাণে পানি বেশি না থাকলেও থেমে নেই নদী ভাঙ্গন।নদীতে স্রোতের ধার অনেক বেশি । মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিনের মাধ্যেই ভেঙ্গে গেছে ১০ থেকে ১৫ বিঘা আবাদি জমি।হতাশায় কৃষকদের মাথায় হাত।

স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, আমাদের আবাদি জমি যেভাবে নদী ভেঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে এ ভাবে চলতে থাকলে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব। পানি উন্নয়ন বোর্ড কিংবা সরকারের কাছে পাইলিং এর কাজ করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, অবৈধ বালু-পাথর উত্তলনের ফলে, একদিকের মাটিগুলো স্রোতের প্রবল আঘাতে ছড়ে যাচ্ছে অন্যদিকে। এতে করে বহুদূর পর্যন্ত ভেঙ্গে গেছে নদীর পাড়। তাঁরা আরো বলেন, এভাবে ভাঙ্গতে থাকলে, একসময় তাদের বসতিও বিলীন হয়ে যাবে নদীগর্ভে। ফলে, বাস্তুহারায় পরিণত হতে পারে উক্ত গ্রামের লোকজন।

৭নং খালিশা চাপানী ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার উক্ত গ্রাম টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে এই প্রতিবেদককে বলেন, যেভাবে নদী ভেঙ্গে যাচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে বিলীন হয়ে যাবে গ্রামটি, এছাড়াও নষ্ট হয়ে যাবে শত শত বিঘা আবাদি জমি।

তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন । ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

এ বিষয়ে ডিমলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া ডিভিশনের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিষয়টি জানার পর আমরা পর্যবক্ষেণ করছি। পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট অনুসারে বাঁধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।