মোঃ তাহেরুল ইসলাম ডোমার ,নীলফামারী প্রতিনিধি: ধর্ম যার যার উৎসব সবার এ নিরিখে বছর ঘুরে আবারও আবহমান বাংলার, বাঙালি সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আর কিছু দিন গেলে শুরু হতে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে সনাতন ধর্ম মন্ডবগুলোতে শুরু হয়েছে দুর্গাৎসবের ঘনঘটা। দেবীকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র চলছে সাজ সাজ রব। পূজা অর্চনায় মন্দিরে মন্দিরে প্রতিমা তৈরীর ধুম পড়েছে। রাতদিন প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। কার থেকে কে বেশি আকর্ষণীয় রূপে তৈরি করবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছেন অনেকে।
চলতি বছর ডোমার উপজেলায় সর্বজনীন দুর্গোৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে ১০১টি মন্দিরে চলছে আয়োজকদের জোড় প্রস্তুতি। সনাতন পঞ্জিকানুযায়ী আগামী (১১অক্টোবর) শুভ শারদীয় দুর্গোৎসব মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হয়ে (১৫ই অক্টোবর) মহা দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে দুর্গৎসবের ইতি ঘটবে। আর দুর্গাতিনাশিনী দেবী দুর্গা মর্ত্যলোক ছেড়ে স্বর্ণ শিখরে কৈলাসে স্বামী গৃহে ফিরে যাবেন।
পেছনে ফেলে যাবেন ভক্তদের শ্রদ্ধাও আনন্দমাখা জল। রেখে যাবেন আগামী বছরের ফিরে আসার অঙ্গীকার। উপজেলার কয়েকটি মন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, শিল্পীর আল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্য সুন্দর রূপ দিতে দিন রাত চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। ইতিমধ্যে কোথাও কোথাও প্রতিমার কাঠামো মাটির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
এরপর শুরু হবে রং তুলির আচঁরের কাজ। নিতাই চন্দ্রসহ অনেক মৃৎশিল্পী জানান, সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে যখন আমাদের তৈরি করা প্রতিমাকে সবাই পূজা করে, তখন আমাদের সার্থক মনে হয়। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক রামকৃষ্ণ বর্মন জানান- স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাক্রা পরে দুরক্ত বজায় রেখে পূজার যাবতীয় অর্চনা পালিত হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।