মোঃ শাহিন আলম, (তাড়াশ) সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলায় নবগঠিত তাড়াশ পৌরসভা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গঠিত হলেও পুরণ গঠন না হওয়ায় আজ ও শুরু হয়নি পৌষভার পূর্ণ কাজ।অবহেলায় পৌরবাসি।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম ও গঠন অনুযায়ী গঠিত তাড়াশ পৌরসভায় সরকারের বাজেট অনুযায়ী পৌরসভার বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড, রাস্তা মেরামত,রাস্তা সলিং,রাস্তা পাকা করণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ হলেও ৬নং ওয়ার্ড জাহাঙ্গীর গাঁতী, সোনাপাতিল এক ধাপ পিছিয়ে।
পিতা হারা পুত্রের মত, অবহেলায় পরে আছে, তাড়াশ উপজেলার ৬ নং জাহাঙ্গীর গাঁতী ও সোনাপাতিল ওয়ার্ড। তাড়াশ হসপিটাল গেট থেকে দক্ষিণ, পূর্ব দিকে বেরিয়ে আসা তাড়াশ, সলংগার প্রধান রাস্তার উত্তর পাশের গ্রাম সোনাপাতিল, ঐ গ্রামে আছে, প্রায় ২ হাজার মানুষের বাস গ্রাম টিতে আছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কিন্তু বিদ্যালয় পর্যন্ত ও নেই কোন পাকা রাস্তা গ্রামের ভিতরে ও নেই ভালো চলাচল ব্যবস্থা ভোগান্তির সিকার গ্রামবাসী।অপর দিকে দক্ষিণ পাশে অবস্থিত বৃহত্তর গ্রাম জাহাঙ্গীর গাঁতী ঐ গ্রামেও আছে প্রায় ৫০০০হাজার মানুষের বাস কিন্তু গ্রামের মানুষের জীবন মান অতি নগণ্য।গ্রামটিতে আছে তাড়াশ উপজেলার ১৭ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।কিন্তুু প্রধান রাস্তা থেকে এ স্কুল পর্যন্ত ও নেই কোন পাকা রাস্তা।
যে বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার জন্য আশেপাশের প্রায় চার পাঁচ গ্রামের ছেলে মেয়ে আসে । কিন্তুু বিগত প্রায় ১যুগ যাবৎ রাস্তার কোন উন্নতি না থাকার জন্য বৃষ্টি হলে দূরের ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসতে পারে না।আর বর্তমানে গ্রামের রাস্তা গুলো এত খারাপ যে চলাচলের অন উপযোগী হয়ে পরেছে।কোন প্রয়োজনে কোন জিনিস বা মালছামানা বাজার থেকে বাড়িতে আনতে চাইলে গাড়ি করে বাড়িতে আনা মটেও সম্ভব না।
রাস্তা গুলো এত খারাপ হয়ে পরেছে যে খালি পায়ে হেটে ও গ্রাম পার হওয়া অনেক কষ্টকর।পৌর কর, ভ্যাট, ট্যাক্স, চলু থাকলেও রাস্তার উন্নতি প্রায় নেই বললেই চলে। রাস্তা বিষয়ে তাড়াশ পৌরসভার সচিব মহোদয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যতটুকো কাজ সরকারি বরাদ্দে আসে আমরা সঠিক ভাবে করার চেষ্টা করি।
আশা করি আগামী বাজেট এর মধ্যে তাড়াশ পৌরসভার রাস্তার কাজ গুলো শেষ করতে পারব।কিন্তু পাকা,বা সলিং রাস্তা গ্রামে না থাকায় গ্রামের ভোগান্তির সিকার মানুষ গুলোর দাবি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ও পৌরসভার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট হতে আকুল নিবেদন এই যে গ্রাম বাংলার খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নতির দিকে ধাবিত করতে ও আগামীদিনের ভবিষ্যৎ ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে হাজার বছরের পিছিয়ে থাকা গ্রামের রাস্তা ঘাট গুলো মেরামত ও পাকা করণ করে দিতে মর্জি হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।