পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নওগাঁর পত্নীতলার ঘোষনগরে সহিংসতার আগুনে পুড়ে যায় পুলিশের দুটি গাড়ি ও ভোটের সরঞ্জাম।
এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা পারভীন’সহ ১১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও আড়াই হাজার জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ। গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে ঘোষনগর ও পার্শ্ববর্তী কমলানগর গ্রাম।

৫ই জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে পত্নীতলা উপজেলার ২৩টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হয়। ঐদিন সন্ধ্যায় ঘোষনগর ইউনিয়নের দুটি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা না দিয়ে ব্যালট বাক্স উপজেলায় নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা পারভীনের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশের দুটি গাড়ি ও ভোটের সরঞ্জামে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

এ ঘটনায় ফারজানা পারভীনসহ ১১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও আড়াই হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা ও স্বামী মতিউর রহমানসহ এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার আতঙ্কে এরপর থেকেই পুরুষশূন্য ঘোষনগর ও কমলাবাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম। গেল শুক্রবার রাতে ফারজানা পারভীনের বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।

এলাকাবাসি বলেন, ‘এখন গ্রামের অবস্থা ভালো নাই। রাত নামলে ধুধুকার কোন ছেলে মানুষ নেই। গ্রামজুড়েই শুধু মেয়ে মানুষ। সবাই সংসার ছেড়ে কাজকর্ম ছেড়ে সবাই পালিয়ে আছে। আমরা খুবই আতঙ্কে আছি। রাত নামলেই ভয় লাগে।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। শুধু জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, ‘যারা জ্বালাও পোড়াও এর সাথে জড়িত আমরা শুধু তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিচ্ছি। তবে নির্দোষ কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। শুধু জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

এ ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে হয়রানি বন্ধের দাবি গ্রামবাসীর।

Source: DBC 7/24