মোঃ এনামুল হক, লোহাগড়া স্টাফ রিপোর্টার:নড়াইল জেলায় উপজেলা ভিত্তিক থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে।তবুও উপজেলায় খুন, জখম, অস্ত্রব্যবসায়ী, মাদক ব্যবসায়ী, নারীপাঁচার,ধর্ষণ, ঘুষ,দখলবাজ, চাঁদাবাজির প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিনিয়ত এই জেলার সংবাদ আসছে বিভিন্ন পত্রিকায়, মিডিয়ায় ।

তেমনি নতুন করে নিউজ তৈরী হলো গতকাল, আনুমানিক রাত ৮ টার পর নড়াইল ফেরীঘাট সংলগ্ন সীমাখালী লিয়াকত শিকদার (৫০)নামের এক ব্যাক্তিকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। কে বা কারা এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায় রাস্তার পাশে। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। আজ রবিবার আসরবাদ জানাজার নামাজ সম্পূর্ণ হয়।

লাহুড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান জিএম নজরুল ইসলাম(৬৫) নামের ব্যাক্তি লাহুড়িয়া থেকে লোহাগড়া সময় মরনমোড় এলাকায় আসলে তাকে চলমান মটর সাইকেল গতিরোধ করে পিছন থেকে কুপিয়ে জখম করে। চিহ্নিত কিছু লোক ঘটনাটি ঘটায় এবং তাদের ভিতর একজনকে গ্রেফতার হয় টিপু সুলতান।

লোহাগড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।তিনি সহজ সরল ও ন্যায় নীতিবান একজন বিশেষ ব্যাক্তিত্ব। তিনি স্থানীয় ভাবে একজন জনপ্রিয় ব্যাক্তি । বর্তমান তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

প্রতিনিয়ত এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের স্বীকার হচ্ছে মানুষ। এক্ষেত্রে প্রশাসনের তৎপরতা নেই বললেই চলে । কিছু ক্ষেত্রে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা হলেও আইন প্রক্রিয়ার দুর্বলতার কারণে বেরিয়ে আসছে , আবার কিছু থাকছে ধরাছোঁয়ার বাহিরে।

নড়াইল জেলায় প্রতিনিয়ত খুন, জখম, মাদকদ্রব্য, নেশাগ্রস্ত, ধর্ষক, প্রতারক,অস্ত্রকারী,জুয়াখোর এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ।

এলাকাবাসীর দাবি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা এবং সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। একমাএ প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টিই পারে নড়াইল জেলায় পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়তে।