নজরুল ইসলাম- নান্দাইল(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইলে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে নুরুল ইসলাম মাষ্টার (৬৫)এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই গ্রামে। অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম একই গ্রামের মৃত সহর আলীর পুত্র। তিনি পাশ্ববর্তী হোসেনপুর উপজেলার ভাগারীচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। দরিদ্র পরিবারের ধর্ষণের শিকার শিশুটির পিতা মো. রেনু মিয়া জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর রবিবার আমার মেয়েকে আমড়া খাওয়ার লোভ দেখিয়ে জোরপূর্বক ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটা এখন ঠিকমত হাটতে পারে না খেতেও পারেনা। ঘন্টায় ১৫-২০ বার প্রস্রাব করতে হয়।
আমি গরিব মানুষ গাজীপুর শহরে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। গত রোববার আমি ঢাকা থেকে বাড়ি এসে আমার স্ত্রীর মাধ্যমে জানতে পারি আমার চাচা নুরুল ইসলাম মাষ্টার আমার মেয়ের এই সর্বনাশ করছে। এঘটনার পর রোববার রাতেই নুরুল ইসলামের বাড়িতে বিষয়টি জানাই। কিন্তু তারা আমার কথার পাত্তা দেয়নি। পরে বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। গত সোমবার রাতে নুরুল ইসলাম মাষ্টারের চাচাতো ভাই ভাতিজা হারিছ, ভাতিজা আমিনুল ইসলাম ও সাবেক মেম্বার আ: হারিছ আমাকে প্রথমে ৩ হাজার টাকা পরে ৫ হাজার টাকা দিয়ে মীমাংসা করতে বলে। আমি তাতে রাজি হয়নি।
নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে নিয়ে আসলে ডাক্তারা নান্দাইল মডেল থানায় ফোন করে বিষয়টি অবহিত করে। পরে শিশুকে থানায় এনে জিজ্ঞেসাবাদ করা হয় । মঙ্গলবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আচারগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম বলেন , এ ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।
আমি ঢাকায় ছিলাম এলাকায় এসে লোকজনের মুখে ঘটনা সম্পর্কে শুনেছি। এবিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান জানান ভিকটিমকে পরীক্ষা করানোর জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।