যশোরের অভয়নগর উপজেলায় বাস ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন পাঁচ শ্রমিক। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার মশরহাটী এলাকায় যশোর-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজনের মধ্যে একজনের নাম শহিদুল ইসলাম (৪২)। তিনি ওই অটোরিকশার চালক। তিনি যশোরের অভয়নগর উপজেলার মশরহাটী গ্রামের ছবর আলীর ছেলে। নিহত অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি। তিনি অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।প্রাথমিকভাবে আহত পাঁচ শ্রমিকের নাম জানা যায়নি। তাঁদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় চারজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা উপজেলার নওয়াপাড়ায় ভৈরব নদে জাহাজ থেকে ঝুড়িতে করে কয়লা তীরে নামানোর কাজ করে আসছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্রমিকদের নিয়ে একটি অটোরিকশা উপজেলার ভাঙ্গাগেট এলাকা থেকে যশোর-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে নওয়াপাড়া বাজারের দিকে যাচ্ছিল। মশরহাটী এলাকায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রূপসা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশার চালক ও ছয় যাত্রী আহত হন। খবর পেয়ে নওয়াপাড়া ফায়ার সার্ভিস ও নওয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফারিয়া রহমান বলেন, দুর্ঘটনার পর সাতজনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এর মধ্যে দুজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই মারা যান। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর চারজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। আহত অন্যজনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষে দুজন নিহত ও পাঁচজন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে বাসের চালক ও তাঁর সহকারী পালিয়ে গেছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।