কালিয়া, নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলের কালিয়ার মহাজন বাজারের এক চাল ডিলারের কাছ থেকে ৫৮ বস্তা মোটা চাল আটক করেছে স্থানীয়রা। উপজেলা প্রশাসন ওই চাল সরকারি কোনো গুদামের কিনা তা যাচাই-এর জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় রেখেছে। মঙ্গলবার (২০এপ্রিল) দুপুরে কালিয়া উপজেলার মাউলী ইউনিয়নের মহাজন বাজারের এই চাল বিক্রি করতে গেলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রথমে ১৭ বস্তা আটক করে প্রশাসনকে খবর দেয়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে অন্য একটি দোকান থেকে আরও ৪১ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়।

মাউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মহাজন বাজারের ব্যবসায়ী প্রশান্ত স্বর্ণকার জানান, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে এক ভ্যান চালক তার ভ্যানে করে ১৭ বস্তা চাল বাজারের সমস্বের সাহার দোকানে বিক্রি করতে আনে। বিষয়টি দেখে সন্দেহ হলে ভ্যান চালককে জেরা করলে তিনি চালগুলো বিপ্লব বিশ্বাসের বলে জানান। পরে নড়াগাতি থানা পুলিশ খবর পেয়ে প্রথমে ১৭ বস্তা ও পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী মনোষা ট্রেডার্স-এর টিনের দোকান থেকে আরও ৪১বস্তা চাল, বস্তা সেলাই করা ভ্রমর, খালি বস্তা, সুতোলি এবং চাল পরিমাপ করা মেশিন উদ্ধার করে। তিনি বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি এ মোটা চাল সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল। কালোবাজারে বিক্রির জন্য এ চাল আনা হয়েছিল।

নড়াগাতি থানার এসআই মনিরুজ্জমান জানান, বিভিন্ন কোম্পানির সিলযুক্ত ৫৮বস্তা চাল স্থানীয় জনগন আটক করে আমাদের খবর দেয়। এখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে বড়দিয়া খাদ্য গুদামের ওসিএলএসডি দিবাকর বিশ্বাস জানান, আটককৃত চালের সাথে আমাদের গুদামের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি অর্থাৎ ১০ টাকা কেজির চালের স্যাম্পলের কোন মিল নেই।
অভিযুক্ত চাল ডিলার বিপ্লব বিশ্বাস জানান, ওই চাল ব্যবসার উদ্যেশ্যে খুলনা থেকে আনা হয়েছে, তার রশিদও রয়েছে। তাছাড়া খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় যে চাল দেওয়া হয়েছে তার পরিমানও ঠিকঠাক মতো রয়েছে। এটা তার বিরুদ্ধে স্থানীয় কিছু মানুষের ষড়যন্ত্র বলে তিনি দাবি করেছেন।

কালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুল হুদা জানান, চালগুলো সরকারি কোনো খাদ্য গুদামের কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কিছু নমুনা রাখা হয়েছে বাকি চাল স্থানীয় মাউলী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামের হেফাজতে রাখা হয়েছে। যাচাই বাছাই শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।