ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা চত্বরের গাছগুলোতে বিকেল হলেই ঝাঁকে ঝাঁকে চড়ুই পাখি এসে বসে। তখন পাখির কিচিরমিচির আওয়াজে যেন ব্যাকুল হয়ে উঠে এলাকাটি। পাখির ঝাঁক দেখে আর কোলাহল ডাকে কাজ শেষে ক্লান্ত মানুষগুলোর মনে প্রশান্তির ভাব ফিরে আসে তখন।
যতই সন্ধ্যা ঘনিয়ে অন্ধকার নেমে আসে ততই পাখির আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠে উপজেলা চত্বর। এসময় ক্লান্ত মুখে তাকিয়ে তাকিয়ে পাখির ডাক শুনে আনন্দ পান তারা। সন্ধ্যা নামলেই পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখর হয়ে ওঠে এলাকাটি।
পাখিদের এমন কিচিরমিচির আওয়াজে একটুও বিরক্ত হন না গাছগুলোর নিচের দোকানীরা। উল্টো কেউ যেন পাখির কোনো ক্ষতি করতে না পারে, সেদিকে করা নজর তাদের।
উপজেলা সূত্রে জানা যায়, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে রুমানা তুয়ার আমন্তণে তাসফিক হক নাফিও এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ফুলপুর ইউনিটের একদল সেচ্ছাসেবক প্রায় বছর খানেক আগে পুরো উপজেলা জুড়ে পাখিদের জন্য অভয়াশ্রম তৈরি করে। যার ফলশ্রুতিতে নানা প্রজাতি পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে থাকে উপজেলা প্রাঙ্গণ।
এ বিষয়ে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে রুমানা তুয়া বলেন, পাখিগুলো এখানে বাসা বাঁধলেও তারা নিরাপদ ছিলো না। তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই পাখিদের জন্য অভয়াশ্রম তৈরি করেছিলাম।
ঈশ্বরগঞ্জের পাখিপ্রেমী কিংশুক শীল বলেন, ‘পাখিগুলোর কারণে এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই গাছটি যেন নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন জানান, ‘পাখি আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য ধরে রাখে। তাই পাখিদের প্রতি সকলকে সহনশীল হতে হবে। খুব শিগগিরই আরো কিছু হাঁড়ি স্থাপন করা হবে সেই সাথে পরিকল্পিত বনায়ন করার পরিকল্পনাও আছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।