বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, ‘জা‌তিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মু‌জিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দে‌শের মানুষ মু‌ক্তিযুদ্ধ ক‌রে দেশ স্বাধীন করেছে। বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম ঘটনা হলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বপ্ন সাধ পূরণ হয় এ মাসে।’

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা হানাদারমুক্ত দিবস উপল‌ক্ষ্যে সোমবার (১৩ ডি‌সেম্বর) সকালে মুড়াপাড়া এলাকায় উপ‌জেলা প্রশাস‌নের উ‌দ্যো‌গে বের হওয়া বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা’র শুরু‌তে প্রধান অ‌তি‌থির বক্ত‌ব্যে তি‌নি এসব কথা বলেন।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীকের নেতৃ‌ত্বে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রাটি উপ‌জেলা প‌রিষ‌দের সাম‌নে থে‌কে শুরু‌ হ‌য়ে ‌বি‌ভিন্ন সড়ক প্রদ‌ক্ষিন ক‌রে মুড়াপাড়া বাজার হ‌য়ে পুনরায় উপ‌জেলা প‌রিষ‌দের সাম‌নে এ‌সে শেষ হয়। প‌রে উপ‌জেলা প‌রিষ‌দ মিলনায়ত‌নে রূপগঞ্জ উপজেলা হানাদারমুক্ত দিবস উপল‌ক্ষ্যে আলোচনা সভা অনু‌ষ্ঠিত হয়।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে স্মৃতিচারন করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক ব‌লেন, “কোন বাঁধাই বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে থামাতে পারেনি। তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করেছেন। বাকি খু‌নিদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। একইভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোন বাঁধাই ঠেকাতে পারে নি। বিচার হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের অনেকেরই ফাঁসি হয়েছে। এখনো বিচার কার্যক্রম চলছে। বাকিদেরও বিচার হচ্ছে। শেখ হাসিনা যত দিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এ দেশে কোনো যুদ্ধাপরাধীদের ঠাঁই হবে না।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন উ‌ল্লেখ ক‌রে মন্ত্রী ব‌লেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মর্যাদা প্রদর্শন এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।”

মন্ত্রী ব‌লেন, “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন এর মাধ্যমে দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশকে আজ অন্য বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছেন; যে জন্য শেখ হাসিনা আজ বিশ্বপরিমণ্ডলে ‘আইকনিক লিডার’ হিসেবে পরিগণিত। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবেও প্রশংসিত।

একটু ভাবুন তো, যদি শেখ হাসিনা আজ বেঁচে না থাকতেন, কোথায় থাকতো বাংলাদেশ? বঙ্গবন্ধু-কন্যা সেদিন প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই উন্নয়নের রোল মডেল আজকের বাংলাদেশ। শেখ হাসিনাকে সেদিন আমরা ফিরে পেয়েছিলাম বলেই; নিজস্ব অর্থে পদ্মার ওপর ৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করার সাহস দেখিয়েছে বাংলাদেশ, এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে বাংলাদেশ। খাদ্যে, বিদ্যুতে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।”

অনুষ্ঠা‌নে আরও উপস্থিত ছিলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা প‌রিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান ভুঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ নুসরাত জাহান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আতিকুল ইসলাম, উপ‌জেলা মু‌ক্তিযোদ্ধা সংস‌দের কমান্ডার আমান উল্লাহ, সহ অনেকে।