প্রথম ধাপে বাগেরহাট জেলার ৭৫ ইউপির মধ্যে ৬৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪টিতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। যার মধ্যে বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছেন ৩৮ জন। একমাত্র কচুয়া উপজেলার রাড়িপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং মেম্বার পদের ১৩ প্রার্থীই বিনাভোটে নির্বাচিত হন।
২০ সেপ্টেম্বর ৬৫ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২৮ প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২৬টিতে আওয়মী লীগদলীয় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন যুবলীগের দুই নেতা।
২৮ ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে— মোরেলগঞ্জে ১৪, রামপালে চার, কচুয়ায় দুই , চিতলমারীতে তিন, ফকিরহাটে তিন, বাগেরহাট সদরে একজন এবং শরণখোলায় একজন চেয়ারম্যান রয়েছেন। মোরেলগঞ্জে ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১২টিতে নৌকা এবং দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন— পঞ্চকরনে রাজ্জাক মজুমদার, দৈবজ্ঞহাটি সামছু মল্লিক, বনগ্রামে রিপন দাস, বলইবুনিয়ায় শাহজাহান আলী, হোগলাবুনিয়ায় মো. আকরামুজ্জামান, বহরবুনিয়ায় রিপন তালুকদার, মোরেলগঞ্জ সদরে হুমায়ুন কবির মোল্লা, তেলিগাতী ইউনিয়নে মোরশেদা আক্তার, পুটিখালীতে আব্দুর রাজ্জাক, রামচন্দ্রপুরে আব্দুল আলিম, জিউধরায় জাহাঙ্গীর আলম বাদশা এবং চিংড়াখালী ইউনিয়নে আলী আক্কাচ বুলু। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন হোগলাপাশা ইউনিয়ন থেকে যুবলীগ নেতা মো. ফরিদুল ইসলাম এবং বারইখালী ইউনিয়ন থেকে আব্দুল আউয়াল খান মহারাজ। কচুয়া উপজেলার দুই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন— ধোপাখালীতে শেখ মকবুল হোসেন এবং মঘিয়ায় পঙ্কজ কান্তি অধিকারী। রামপালের চার ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন— বাইনতলায় ফকির আব্দুল্লাহ, উজুলকুরে মুন্সি বোরহান উদ্দিন, গৌরম্ভায় মো. রাজিব সরদার এবং পেড়িখালী ইউনিয়নে রফিকুল ইসলাম বাবুল। চিতলমারী উপজেলার তিন ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন— বড়বাড়িয়ায় মোহাম্মাদ মাসুদ সরদার, সদর ইউনিয়নে মো. নিজাম উদ্দিন শেখ এবং কলাতলায় মো. বাদশা মিয়া। ফকিরহাটে তিন ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন— লখপুরে এমডি সেলিম রেজা, বাহিরদিয়ায় রেজাউল করিম ফকির এবং শুভদিয়ায় মো. ফারুকুল ইসলাম। শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাইনুল ইসলাম টিপু বিজয়ী হয়েছেন। বাগেরহাট সদরের রাখালগাছী ইউনিয়ন থেকে শেখ আবু শামীম আসনু নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
এর আগে নৌকা প্রতীকের ৩৮ প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। যাদের মধ্যে বাগেরহাট সদরে ছয়, মোল্লাহাটে ছয় ফকিরহাটে চার, রামপালে পাঁচ, মোংলায় ছয়, চিতলমারীতে চার, কচুয়ার চার এবং শরণখোলায় তিনজন রয়েছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।