আবুল হাশেম | রাজশাহী ব্যুরো: চামড়া সংগ্রহের সবচেয়ে বড় মৌসুম কুরবানির ঈদ। এ সময় মোট চামড়ার শতকরা ৮০ ভাগ সংগৃহীত হয়ে থাকে। তারপরেও রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় কুরবানির পশুর চামড়া কেনার লোক নেই। অনেকেই চামড়া বিক্রি করতে না পেরে ফাঁকা স্থানে গর্ত খুঁড়ে মাটিতে পুতে ফেলছে, আবার কেউ কেউ মসজিদ, মাদ্রাসায় দিয়ে দিচ্ছেন।
বাঘা উপজেলা সদর সহ বাউসা, আড়ানী, মনিগ্রাম, পাকুড়িয়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকালে পশু কুরবানি দিলেও অনেকেই বেলা তিনটা পর্যন্ত চামড়া বিক্রি করতে পারেনি। বাড়ীর সামনে চামড়া ফেলে রেখেছেন। পাশাপাশি এলাকাগুলোতে মৌসুমি ব্যবসায়ী দের দেখা নেই। এর বিপরীতে বিনামূল্যে চামড়া সংগ্রহ করতে বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিমখানার লোকজনকে দেখা গেছে। অনেকেই চামড়া বিক্রি করতে না পেরে মসজিদ, মাদ্রাসা বা এতিমখানায় চামড়া দান করে দিচ্ছেন। বুধবার ( ২১ শে জুলাই) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বাঘা উপজেলা সদরের জামশেদ আলীর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যে তার কোরবানির গরু কাটাকুটি শেষ। কিন্তু এখন বিকেল চামড়া ব্যবসায়ী দের দেখা পাননি তিনি। তিনি বলেন, গত দুই বছর আগেও এমন ছিলো না অবস্থা।
বাঘা রিপোটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এম ইসলাম দিলদার বলেন, এক লাখ ছয় হাজার টাকার গরুর চামড়ার দাম ৪২০ টাকা বিক্রয় করলাম।
এবার উপজেলার এলাকার অন্তত এক শত জন মৌসুমি ব্যবসায়ী চামড়া কিনছে না।
বাঘা বাজারের মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী ছামির উদ্দিন বলেন, খাসি ছাগলের চামড়া ৪০ টাকা, গরুর চামড়া ১৮০-২শত টাকায় কিনছেন। তবে বকরি ছাগলের চামড়া কিনছেন না তিনি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পবিত্র ঈদুল আজহার জন্য কুরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে। গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ঢাকার জন্য প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরের জন্য ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা। এছাড়া প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়া ১৫ থেকে ১৭ টাকা এবং বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ দাম গত বছরের নির্ধারিত দামের চেয়ে কিছুটা বেশি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।