মনিরামপুরে কলেজ শিক্ষক স্বামীর পরকীয়ার জের হিসেবে শিশু কন্যাকে হত্যার পর অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় আটক কনার মন্ডলকে দোষারোপ করে ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মানববন্ধন ও সমাবেশের মাধ্যমে তার ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসী ফুসে উঠেছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার মশিয়াহাটি বাজারে বিভিন্ন শ্রেণির-পেশার ৫শতাধিক নারী-পুরুষ কনার মন্ডলের ফাঁসির দাবীতে ঘন্টাব্যাপী সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এতে বক্তব্য রাখেন নিহত গৃহবধু পিয়া মন্ডলের ভাই চন্দন মন্ডল, ইউপি সদস্য আলম হোসেন, বিচার প্রত্যাশি আলোক মন্ডল, তমা মন্ডল, আবদুল হালিম প্রমুখ। এ সময় সেখানে সাংবাদিক জিএম, টিপু সুলতান, মোস্তাফিজুর রমমানসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে বক্তারা নিহত পিয়া মন্ডলের স্বামী কনার মন্ডলের ফাঁসি ছাড়াও মশিয়াহাটি কলেজ থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবি জানান। উল্লেখ্য উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের সুজাতপুর গ্রামের ননি মন্ডলের ছেলে মশিয়াহাটি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক কনার মন্ডলের সাথে পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় অভয়নগর উপজেলার দত্তগাতী গ্রামের ভগিরত মন্ডলের মেয়ে পিয়া মন্ডলের। বিয়ের পর কনার মন্ডল স্ত্রীকে নিয়ে কুলটিয়া বাজারের পাশে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তারা সংসার করছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে প্রায় এক বছর আগে কনার মন্ডল এলাকার একাধীক নারীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করায় কনার মন্ডল প্রায়ই পিয়াকে মারপিট করতো।
৭ আগষ্ট সকালে কনার তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। সন্ধ্যায় অন্তঃসত্ত্বা পিয়া মন্ডল শিশু কন্যা কথা মন্ডলকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘরের সিলিংয়ের হুকের সাথে ঝুলিয়ে নিজেও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ঘটনায় দোষারোপ করে ওই রাতেই পুলিশ স্বামী কনার মন্ডলকে আটক করে। আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে থানায় মামলা করেন নিহত পিয়া মন্ডলের ভাই চন্দন মন্ডল। কনার মন্ডল বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।