অ্যাপেন্ডিসাইড ও মূত্রনালির সমস্যায় ভুগছে পাঁচ বছরের শিশু নাইম হোসেন। অপারেশনসহ তার চিকিৎসার জন্য দেড় লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু এ অর্থ ব্যয় করার সাধ্য তার গরিব পরিবারের নেই। কি করে ছেলে বাঁচবে এ নিয়ে চরম শঙ্কা আর উৎকণ্ঠায় আছেন নাইম হোসেন মা-বাবা ও নানা।
 
নাইম হোসেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের জোতরঘু গ্রামের হতদরিদ্র দিনমজুর নান্টু হোসেনের নাতি ও হাবিব হোসেনের ছেলে। শিশুটির নানা ও বাবা নিরুপায় হয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের হৃদয়বান ও বিত্তবান মানুষের কাছে সাহায্যের প্রার্থনা করেছেন।
 
এ বিষয়ে নাইম হোসেনের নানা নান্টু হোসেন বলেন, সাত বছর আগে জামনগর পূর্বপাড়া গ্রামের দিনমজুর হাবিব হোসেনের সঙ্গে মেয়ে তুসি খাতুনের বিয়ে দেওয়া হয়। মেয়ের সংসারে অভাব যেন লেগেই থাকে।
 
এর মাঝে নাইম হোসেনের জন্ম হয়। জন্মের কিছু দিন পর থেকে আমার কাছে আছে। হঠাৎ মাস দুয়েক আগে পেটে অত্যন্ত ব্যথা হয় শিশুটির। নাড়িকে মেডিকেলে নিতে হবে। নিজের কাছে টাকা নেই। এ সময় আমার বাড়ির পাশে নাসির উদ্দিন মাস্টার ও আলমগীর হোসেন সেন্টুর কাছে থেকে দুই হাজার টাকা নিয়ে নাড়িকে মেডিকেলে নিয়ে যায়। এ সময় অ্যাপেন্ডিসাইড ও মূত্রনালির সমস্যা বলে চিকিৎসক জানান।
 
চিকিৎসক অ্যাপেন্ডিসাইডের অপারেশনও করেন। তার পর তাকে বাড়িতে আনা হয়। পুনরায় ব্যথা শুরু হলে নিরুপায় হয়ে পড়েছি। বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ২৮ নম্বর বেডে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রফেসার নওশাদ আলীর অধীনে চিকিৎসাধীন। অর্থের অভাবে নাতির চিকিৎসা করাতে পারছি না।
 
তিনি আরও বলেন, আমি অতিদরিদ্র একজন দিনমজুর মানুষ। আমি আড়ানীর রেল ব্রিজের পশ্চিম পাশে গেটম্যান হিসেবে কাজ করতাম। কিন্তু এই করোনাকালে এটাও বন্ধ হয়ে গেছে।
 
তবে আমার ৬ শতাংশ জমি আছে। অবশেষে নাতিকে বাঁচানোর জন্য এই জমিটুকু বিক্রি করতে হবে। এই জমির ওপর একটি টিনের ছাপড়াঘর তুলে কোনোমতে বসবাস করছেন নান্টু। এটিও নাতির চিকিৎসার জন্য বিক্রি করতে হবে বলে কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
 
অভাবের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। এখন নাতির চিকিৎসা করাব কীভাবে? এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
 
নাতি নাইম হোসেনকে নিয়ে নানা নান্টু হোসেন দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। নিরুপায় হয়ে দেশের হৃদয়বান ও বিত্তবান মানুষের কাছে সাহায্যের প্রার্থনা করেছেন।
 
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-নান্টু হোসেন, বিকাশ নম্বর ০১৭৮৯-৭৪০২৯৭ (ব্যক্তিগত)।