নেত্রকোনায় যুবলীগ আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে পদ বানিজ্যের অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনা জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির কয়েক নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নের কমিটিতে ছাত্রদল ও আওয়ামীবিরােধী পরিবারের লােকজন ঢুকিয়ে পদ বাণিজ্যের অভিযােগ উঠেছে । পদ বাণিজ্যের পাশাপাশি চাদাবাজির মাধ্যমে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা । একটি গােয়েন্দা সংস্থা কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে খোজ খবর নিচ্ছে এমন সংবাদে এই দুর্নীতিবাজ যুবলীগ নেতারা এখন বিপাকে পড়েছেন । জানা যায় , নেত্রকোনা জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয় ২০১৭ সালে আহবায়ক করা হয় মাসুদ খান জনিকে । আর কমিটির এক নম্বর যুগ্ম আহবায়ক হন জামিউল ইসলাম খান জামি । ২০১৭ সাল থেকে আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে কমিটির নেতৃবৃন্দ পদ দেয়ার নামে বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছেন বলে অভিযােগ উঠেছে উপজেলা , ইউনিয়ন কমিটি করা হচ্ছে মােটা টাকার বিনিময়ে । টাকা দিলেই পদ মেলে । বারহাট্টা ডিগ্রী কলেজের ছাত্রদলের সদস্য হাদিস ফকিরকে বানানাে হয়েছে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি । তাকে সভাপতি বানানাের পর আওয়ামীলীগ , যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা – কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ আর জেলায় আলােচনা-সমালােচনা চলছে যা আজো অব্যাহত রয়েছে । জেলার আটপাড়া যুবলীগের কমিটি একবার বাতিল করে টাকার বিনিময়ে আবারও অনুমােদন করা হয় । দুর্গাপুরের সাধারন সম্পাদক সাদ্দাম আকুজি কে বহিস্কার করে কয়েকদিন পর আর টাকার বিনিময়ে স্বপদে বহাল করে ।আহবায়ক কমিটি গঠন হওয়ার পর কয়েকজন যুবলীগের নেতৃবৃন্দ এখন কোটি কোটি টাকার মালিক । সকল সেক্টরেই চলে আহবায়ক কমিটির কয়েক নেতা ও তাদের গঠিত উপজেলা যুবলীগ নেতৃবৃন্দের চাঁদাবাজি । তাদের আত্মীয় স্বজনের নামে রয়েছে কয়েকটি এ্যাকাউন্ট । যাতে রয়েছে তাদের মােটা অংকের টাকা । একটি গােয়েন্দা সংস্থা এই নেতৃবৃন্দ এবং তাদের আত্মীয় স্বজনের বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে অনুসন্ধানে নেমেছে বলে জানা গেছে । বারহাটা যুবলীগের সভাপতি হাদি ফকিরের ব্যবহৃত মােবাইলে ফোন করলেও তার সাথে যােগাযােগ করা সম্ভব হয়নি । এ ব্যাপারে জানতে নেত্রকোনা জেলা যুবলীগের জামিউল ইসলাম খান জ্যামির সাথে যোগাযােগ করা হলে তিনি জানান , ২০১৭ সাল থেকে কমিটিতে আছি । আমি নেতা থাকাকালীন বারহাট্টা ডিগ্রী কলেজের ছাত্রদলের সদস্য হাদিস ফকিরকে যুবলীগের কমিটিতে সদস্য যুবলীগে করা হয় নাই । ছাত্রদলের ছিল কিনা জানা নেই আমার আগে হয়েছে।নেত্রকোনা জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ খান জনি জানান , চাঁদাবাজির ঘটনা সত্য না । দলীয় কর্মীদের মুখে জানা যায় টাকা দিয়ে নেতা হইছি আর টাকা দিয়েই নেতা হবাে এরকম উক্তি তাদের,সবচেয়ে লক্ষনীয় বিষয় যে , মূল দল আওয়ামীলীগের জাতীয় কর্মসূচী গুলােতে প্রায়ই অনুপস্থিত থাকে যুবলীগের মূল নেতৃত্ব,রাজনীতির নামে দুর্নীতি , চাঁদাবাজি , পেশিশক্তির প্রয়ােগসহ যে কোনাে ধরনের বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে জিরাে টলারেন্স নীতি নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দুর্নীতিবাজ চাঁদাবাজ নেতাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে । যুবলীগের শীর্ষ নেতার কোনাে কোনাে খাত থেকে বা কারা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । নেত্রকোনার এই নেতাদের কারণে যুবলীগ যে ইমেজ সংকটে পড়েছে , সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে সংগঠনটির নেতৃত্বে স্বচ্ছ কাউকে আনা সময়ের দাবি বলে মন্তব্য নেত্রকোনা জেলা আওয়ামীরীগ নেতৃবৃন্দের । জেলা আ.লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন , দুর্নীতিবাজ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি সৎ , মেধাবী , উদ্ভাবনী ক্ষমতা সম্পন্ন নেতৃত্ব আনা গেলে নেত্রকোনা জেলা ও উপজেলা যুবলীগের সুনাম ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।