মোঃ রাকিব হাসান, ঢাকাঃ

দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতিতে দেশব্যাপী কঠোর লক ডাউনের মাঝেও পবিত্র ঈদ উল আজহা উপলক্ষে সরকার কয়েকদিন লকডাউন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। এসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজধানীর বেশ কিছু জায়গায় কুরবানী পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেয়া হয়। রাজধানীর কুরবানী হাট গুলোর মধ্যে অন্যতম ঐতিহ্যবাহী একটি হাট হলো বনশ্রী মেরাদিয়া পশুর হাট। তবে স্বাস্থ্যবিধির পাশাপাশি এবার প্রত্যেকটি হাটে নিরাপত্তা ব্যাবস্থাও জোরদার করা হয়। হাটে যে কোন প্রকার বিশৃংখলা, চুরি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সোচ্চার আইন শৃংখলা ও নিরাপত্তা বাহিনী। তবে এই কঠোর নিরাপত্তার মাঝেও একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর বনশ্রী মেরাদিয়া গরুর হাটে। কুরবানীর পশু কিনতে আসা এক ক্রেতার ব্যাগ থেকে নগদ টাকা ও কাগজপত্র চুরির ঘটনা ঘটেছে গত সোমবার।

চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগী ক্রেতার নাম তাজমির হোসেন সজীব। রাজধানীর গোড়ানের বাসিন্দা তিনি এবং পেশায় একজন ব্যাবসায়ী। ভুক্তভোগী জানান, গত সোমবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ বাসা থেকে কুরবানীর পশু কেনার উদ্দেশ্যে এক বন্ধুকে নিয়ে মেরাদিয়া হাটের উদ্দেশ্যে বের হন। এসময় একটি এটিএম বুথ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা তুলে পকেটে নেন। এবং একটি রিক্সা নিয়ে সোজা মেরাদিয়া হাটের গেটে পৌছান। এসময় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে তিনি পকেটের চল্লিশ হাজার টাকা, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এবং তার নিজস্ব বাইকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র একটি পলিথিনে ভরে তার কাঁধের ব্যাগে রাখেন। হাটে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন গরু দামদর করে অবশেষে একটি গরু কেনার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তখন গরু ব্যাবসায়ী কে টাকা দেয়ার উদ্দেশ্যে তার কাধের ব্যাগ থেকে টাকার পলিথিন বের করতে গিয়ে দেখেন ব্যাগের সব চেইন খোলা এবং টাকা, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বাইকের কাগজ কিছুই নেই।

তাৎক্ষণিকভাবে ভুক্তভোগী বিষয় টি হাটের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে জানান। পুলিশ পুরো হাট অনেক খোঁজাখুজি করেও টাকা বা প্রয়োজনীয় কাগজ কোন কিছুই খুঁজে পায় নি। অত:পর পুলিশ বিষয় টি দেখবে বলে জানান এবং একটি সাধারণ ডায়েরী করার পরামর্শ দেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নিকটস্থ থানায় একটি ডায়েরী করবেন বলে জানান।