ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির নলছিটিতে হত্যা মামলায় নিজেকে বাঁচাতে ৭৫ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা সহ তার পরিবারের ১৮ জনকে আসামি করে ধ্বংসের মিশনে নামছেন বাদী মিঠু বিশ্বাস ও তার সহযোগীরা।
এমন অভিযোগ এনে মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের পক্ষে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঝালকাঠির মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের দাবি, মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলীও তার পরিবার রোমান হত্যার সাথে জড়িত না। বাদী ও সাক্ষীরা হত্যা মামলার পরিকল্পনাকারী।
গত ৩ জানুয়ারি নলছিটি উপজেলার দপদপিয়ার সত্তার বিশ্বাসের ছেলে আনিসুর রহমান রহমান রুমানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ওই মামলায় রুমানের চাচাতো ভাই মিঠু বিশ্বাস বাদী হয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী ও তার পরিবারের ১৮ জনকে মামলায় আসামি করেন। আমরা জানতে পেরেছি, বাদী ও সাক্ষীরা হত্যা মামলার হত্যার পরিকল্পনাকারী।
রোমান হত্যা মামলায় বাদি ও সাক্ষীদের কাঠগড়ায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আসল হত্যাকারী বের হয়ে আসবে। এমন দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা অরুণ কুমার রায়।
তিনি আরো বলেন, হাসপাতালে সুরতহাল রিপোর্টে রোমান কে এক কোপ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে আলামত পায় পুলিশ। অথচ এজাহারে আসামি করা হয় ২২ জনকে। বাদী মিঠু বিশ্বাস ও সাক্ষীরা নিজেদের রক্ষা করতে মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারকে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান,
৭৫ বছর বয়সী এ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মামলায় ৬০ বছর বয়স দেখিয়ে আসামি করা হয়েছে। প্রায় এক মাস পালিয়ে বেড়ানোর পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান তিনি। এখনো তাঁর বিরুদ্ধে মামলার বাদী মিঠু বিশ্বাস নানা ষড়যন্ত্র করছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
মিঠু একজন সন্ত্রাসী ও মাদক সেবী। জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় প্রতিপক্ষকে এলাকা ছাড়া করতেই হত্যা মামলায় ২২ জনকে আসামি করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এম এ বায়েজিদ, ডেপুটি কমান্ডার দুলাল সাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম, শামসুল আজিম, সত্যবান সেন গুপ্ত, আবুল বাশার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী হাওলাদারের মেয়ে আফরোজা আক্তার লাকি ও মারুফা আক্তার পপি
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।