মনির খান, স্টাফ রিপোর্টার: নড়াইলের লোহাগড়ার মঙ্গলহাটা গ্রামের প্রবাসী হাবিবুর রহমানের গৃহবধূ সনিয়া আক্তার নগদ ৫ লক্ষ টাকা, ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার,যার মূল্য ১৪ লক্ষ টাকা, এবং ৩৭ শতাংশ জমি যার আনুমানিক মূল্য ১৫ লক্ষ টাকা মোট মিলে ৩৪ লক্ষ টাকার বুঝ নিয়ে আপন দেবরের সাথে লাপাত্তা হয়ে যায়। হাবিবুর রহমান মঙ্গল হাটা গ্রামের মৃত আব্দুল গনি লস্কারের ছেলে।

হাবিবুর রহমান গত ১৩ বছর পূর্বে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার চর পাড়া গ্রামের মজিবর শেখের মেয়ে সনিয়া আক্তার কে বিবাহ করেন এবং পরবর্তীতে একটি কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করেন। হাবিবুর রহমানের ৬ বছর সংসার জীবন,১৭ বছরের প্রবাস জীবনের সমস্ত টাকা-পয়সা স্বর্ণালঙ্কার সবকিছু নিয়ে তা রাক্ষসী স্ত্রী সনিয়া আক্তার তার আপন দেবর শরিফুল লস্কারের সাথে চলে যায়।

দেবরের সাথে পরকিয়া প্রেমের সুযোগ হয়ে উঠে স্বামী বিদেশ থাকার কারণে। এর অন্যতম ইন্দনদাতা সনিয়া আক্তারের ভাই সেলিম শেখ। সেলিম শেখ বোন কে সহযোগিতা করে বোন থেকে বিভিন্ন সময়ে পাই নগদ অর্থ, যা দিয়ে সেলিম শেখ অনায়াসে মজা করে চলে। হাবিবুর রহমান তার আপন ছোট ভাই শরিফুল লস্কার কে বিদেশ নিয়ে যায়, অন্যান্য ফ্যামিলিদের মত আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য।

কিন্তু অবশেষে তার স্ত্রী ও স্ত্রীর ভাই সেলিম শেখ হাবিবুর রহমানের সাজানো সংসার কে ভেঙ্গে চুড়ে চুরমার করে দেয়। পুনরায় সংসার কে সাজানোর জন্য স্ত্রী, স্বর্ণালঙ্কার, টাকা পয়সা, জমিজমা ফেরত পাওয়ার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিকট দ্বারে দ্বারে ঘুরেও পায়নি তার সমাধান। হাবিবুর রহমান আইনের আশ্রয় নিবে বলে তাকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি ও চাপের মুখে থাকতে হয়েছে। হাবিবুর রহমানের ১৭ বছরের বৈদেশিক জীবনের কষ্টের অর্জিত টাকা,

স্বর্ণালঙ্কার, জমি ফেরত পাওয়ার লক্ষ্যে। আজ ১৪ নভেম্বর ২০২১ তারিখ লোহাগড়া থানায় হাজির হইয়া হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ৩ জনের নামে এজাহার জমা করেন। আসামি গন হলেন ১/ মোসা: সনিয়া আক্তার ২/সেলিম শেখ উভয় পিং মজিবার শেখ সাং চরভাটপাড়া, থানা: কাশিয়ানী, জেলা: গোপালগঞ্জ। ৩/শরিফুল লস্কার পিং মৃত আব্দুল গনি লস্কার সাং মঙ্গল হাটা, থানা: লোহাগড়া, জেলা: নড়াইল। লোহাগড়া থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু হেনা মিলন বলেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।