নড়াইলের লোহাগড়া শহরের মোর্শেদা ক্লিনিকে একজন রোগীর শরীরে ‘ও পজেটিভ’ রক্তের পরিবর্তে ‘বি পজেটিভ’ রক্ত পুষ করায় ওই ক্লিনিক মালিক জনরোষের শিকার হয়েছেন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে ক্লিনিক মালিককে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের পাংখারচর গ্রামের আরকান মোল্যা ওরফে ওলিয়ারের স্ত্রী আকলিমা বেগম খুশি,(৪৫) জরায়ুতে টিউমার অপারেশন করার জন্য গত শুক্রবার (২ এপ্রিল) শহরের মোর্শেদা ক্লিনিকে কর্তৃপক্ষের সাথে ১৫ হজার টাকা চুক্তিতে ভর্তি হন।

ভর্তির পর ডা: তাজরুল ইসলাম (তাজ) কে দিয়ে অপারেশন সম্পন্ন করেন।

আকলিমা বেগম খুশির ভাই সোহেল রানা অভিযোগ করে বলেন, ‘সকালে এক দফা অপারেশনের পর পূনরায় সন্ধ্যার দিকে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ওই ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে ফের আমার বোনকে দ্বিতীয়বার অপারেশন করেন। দ্বিতীয় দফা অপারেশন শেষে রোগীর জরায়ুতে রক্তপাত শুরু হলে শরীরে রক্তশূণ্যতা দেখা দেয়।

এ সময় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ আমাকে জানায় রোগীর শরীরে রক্তের প্রয়োজন। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, আমার বোনের রক্তের গ্রুপ ‘ও পজেটিভ’ কিন্তু ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কোন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই আমার বোনের শরীরে চার ব্যাগ ‘বি পজেটিভ’ রক্ত পুষ করেন।

এতে করে আমার বোনের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
এদিকে মঙ্গলবার ৬/ তারিখ রাত ৮ টার দিকে ওই রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হলে রোগীর আত্বীয়-স্বজনসহ এলাকাবাসী ওই ক্লিনিক ঘেরাও করে ক্লিনিকের মালিক জাকির হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রাখে।

খবর পেয়ে লোহাগড়া থানার এসআই সাইফুল ইসলামেরর নেতৃত্বে এএসআই বাচ্চু সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

ওই রাতেই রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা সিটি মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোর্শেদা ক্লিনিকের মালিক জাকির হোসেন সৃষ্ট ঘটনার কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।

আকলিমা বেগম খুশির ভাই সোহেল রানা আরো বলেন, আমার বোন সুস্থ্য হলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব। এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

মো:আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার নড়াইল।মোবাইল: ০১৯২০২৮১৭৮৭ /০১৭০৫১৯৩০৩০