মিরু হাসান বাপ্পী,বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বন্ধুত্ব বন্ধন আর আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৯ এর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ফারিস্তা কমিউনিটি সেন্টার ও পার্কে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সারাদিন ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসুচির মধ্য দিয়ে পুনর্মিলনী পালন করা হয়।

কর্মসুচির অংশ হিসেবে সকাল ১০ টায় বেলুন ও পায়রা উঠিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা করা হয়। এরপর ফারিস্তা কমিউনিটি সেন্টার ও পার্কে থেকে একটি বিশাল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষন করে। প্রিয় বন্ধুদের সাথে মিলিত হতে পেরে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন তাঁরা।

এ যেন এক অভূতপূর্ব প্রাণের মিলন মেলা। বেলা ১২ টার সময় ওই বিনোদন কেন্দ্রর হল রুমে পরিচিতি পর্ব, জুম্মার নামাজের বিরতির পর মধ্যাহ্ন ভোজ, র‌্যাফেল ড্র, আলোচনা, স্মৃতিচারণ, প্রাক্তন শিক্ষকদের সম্মাননা স্মারক প্রদান ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এসএসসি-৮৯ ব্যাচ ফাউন্ডেশনের আহবায়ক মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ওই ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহফুজুল হক টিকন, স্কয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সরওয়ার পারভেজ, প্রকৌশলী মালা, মানিক, অধ্যাপক তহমিদুল হক মুক্তি, বিনত কুমার, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ফাইটার, জহুরুল হক বিপ্লব, রনজিত, আকরাম, চঞ্চল, সেলিম, মিঠু, বাচ্চু, রেজাউল, অধ্যক্ষ শাহানাজ, আঞ্জু, সোহেলী প্রমূখ। এ সময় ওই ব্যাচের ১৪৪ জন শিক্ষার্থীরা পরিবারসহ উপস্থিত ছিলেন।

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ৮৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহফুজুল হক টিকন বলেন, অনেক দিন পর আমরা স্কুলের বন্ধু-বান্ধবীরা মিলিত হয়েছি এক সাথে। জীবন বাস্তবতার সময়ের প্রয়োজনে আমরা প্রত্যেকে বিভিন্ন দিকে ব্যস্ত থাকি। সবার সাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ খুব একটা আসে না। তাই সবার সান্নিধ্য পেয়ে ভালো লাগছে। আশা করি আগামীতে ও আমরা এই পুনর্মিলনীর ধারা অব্যহত রাখেবো।

ডাক্তার সরওয়ার পারভেজ বলেন, দীর্ঘদিন পর সবাই একত্রিত হয়েছি। স্কুল জীবন কে ঘিরে বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে কত স্বৃতি জড়িয়ে আছে। সবাই কে এক ফ্রেমে পেয়ে এগুলি স্মৃতিচারন করছি। বেশ ভালো লাগছে।

আয়োজক কমিটির আহবায়ক মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা আজ সব বন্ধুরা মিলে এত বড় একটা মিলন মেলার অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পেরে আনন্দিত। সব বন্ধরা যদি আন্তরিক থাকে তাহলে প্রতি বছর এ রকম অনুষ্ঠান করতে পারবো বলে মনে করি। স্কুল থেকে পাস করে বের হয়ে যাওয়ার পর সবার সাথে মিলিত হবার সময় ও সুযোগ খুব একটা হয়ে উঠে না। আমরা যেন নিজের অস্তিত্বকে ভুলে না যাই, নিজের শেকড়কে ভুলে না যাই এটাই আমাদের প্রত্যাশা।