বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলায় নির্মানাধীন স্কুলের ছাদ থেকে পড়ে যেয়ে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।।বৃহস্পতিবার ২৭/৫/২০২১ তারিখ খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যুবকের মৃত্যু হয়।
চৌদ্দহাজারী গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর মল্লিকের ছেলে সাব্বির।গত ২৪/৫/২০২১তারিখে সকাল ১১টার আগে বা পরে সন্তোষপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্মানাধীন চারতলা ভবনে ওঠে। কিছু সময় সেখানে থাকার পর নিচে পরে আহত হয়। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাখরগঞ্জ বাজারে ডাক্তারের কাছে নিয়ে এলে ডাক্তার তাকে চিতলমারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠায়।পরবর্তী সময়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেই দিন খুলনা পাঠানো হয়।খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১১+১২ ওয়ার্ডের অতিরিক্ত বেডে ভর্তি করা হয় যার রেজি নং ১৯৫৩/৭।
সাব্বিরের চাচা ওহাব আলী বলেন ঢাকা থেকে ঈদের দুই দিন আগে বাড়িতে আসে।সোমবার সকালের কোন এক সময় কাউকে না জানিয়ে যুরতে যায়।১২টার সময় আমরা জানতে পারি স্কুলের ছাদ থেকে পরে যেয়ে গুরুতর আহত হয়েছে।তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনায় নেওয়া হলেও ডাক্তাররা সাব্বিরকে বাঁচাতে পানেনি।
সাব্বিরের মুত্যু স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক তা নিয়ে গ্রামের অনেকের মনে সংশয় আছে।চৌদ্দহাজারী গ্রামের অনেকে বলেন,ছেলেটা ঢাকায় থাকতো।বাড়ি এসে নেশাখোরদের সাথে চলাফেরা করতো।তবে সাব্বিরের লাশ বাড়িতে নিয়ে আসলে এক হৃদয় বিদারকের দৃশ্যের স্মৃষ্টি হয়।আত্মীয় স্বজন থেকে শুরু করে পাড়াপ্রতিবেশী,বন্ধুবান্ধবরা কন্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
সন্তোষপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশোক কুমার মন্ডল বলেন,স্কুলের ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে আমার জানা নেই।আপনাদের মাধ্যমে শুনলাম তবে ঘটনাটা খুবই দুঃখ জনক।তাছাড়া যে ভবনের কথা বলছেন সেইটা এখনো ঠিকাদার কমপ্লিট করে আমাদের হাতে তুলে দেয়নি।
অরক্ষিত ভবনে কে কখন ওঠে সেটা আমার স্কুল কতৃপক্ষের জানার কথা নয়।ভবন থেকে পড়ে মারা গেলে তার দ্বায় স্কুল কর্তৃপক্ষের নয়। দ্বায় যদি থাকে সেটা ঠিকাদারের কারন ভবনের কাজ অনেক দিন বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারের নিয়োজিত ম্যানেজার তদারকি করেন।আমার শিক্ষক কর্মচারী ঐভবনে যাইনা।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাধ্যমে ২৭/৫/২০২১ তারিখে সোনাডাঙ্গা থানায় জিডি করা হয়। জিডি নং ১৫৫৮ ডিউটি অফিসার ছিলেন চামেলী।
চৌদ্দহাজারী গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা শাহাজাহান তালুকদার বলেন, সাব্বিরের সাথে সম্ভবত চারজন ছিলো।সাব্বির মৃত্যুর আগে বলে গেছে তাকে পিছন দিয়ে ধাক্কা মেরে কে ফেলে দিছে সে দেখতে পারে নাই।তবে সরোজমিনে স্কুল ভবনে গিয়ে দেখা গেছে চারতলার উপর দিয়ে কেহ পড়লে যায়গায় মারা যাবার কথা।হাড়গোড় ভেঙ্গে যাবে কিন্তু পিঠের এবং পায়ের চামড়া ছুলে যাওয়া ছাড়া অন্যকোন আঘাতের চিহ্ন ছিলো না।সাব্বিরকে যারা ফোন দিয়ে ডেকে নিয়েছিলো তার মধ্যে তারএক চাচাত ভাই বাড়ি ছাড়া।গত রাতে গ্রামের লোকজন বসে ৭দিনের মধ্যে তাকে বাড়ি আনতে বলা হয়।
চিতলমারী থানার কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুজ্জামান প্রতিবেদকে মুঠোফোনে বলেন, ঘটনা ঘটার অনেক পরে আমাদের জানায় এবং জিডি খুলনায় হয়েছে তাই আমরা সহজে কিছু করতে পারছিনা।পোস্টমটেমের রিপোর্ট আসলে মামলা হবে কিনা তখন বলা যাবে।আমাদের জানালে থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।