যশোরের অভয়নগরে চন্দনা রায় (৩২) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তার গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ নামিয়ে তার স্বামী মন্টু ম-ল পালিয়ে গেছে। রবিবার সকালে উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের ইসলামপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
চন্দনা রায়ের মেয়ে কনা মন্ডল দাবি করেছে তার মাকে হত্যা করে বাবা পালিয়ে গেছে।
উপজেলার কুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী কনা ম-ল জানায়, ‘আমার বাবা ও মা দুজনেই ঘাট শ্রমিক। ঘটনার দিন আমি মণিরামপুর উপজেলায় মামার বাড়ি ছিলাম। সকালে খবর পেয়ে এসে দেখি মায়ের মরদেহ পড়ে আছে, বাবা পালিয়ে গেছে। আমার মাকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের বারন্দায় ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছিল। আমি আমার মায়ের খুনির ফাঁসি চাই।’
নিহতের সৎ ছেলে সজীব ম-ল মুঠোফোনে বলেন, ‘শনিবার রাতে বাবার সঙ্গে মায়ের ঝগড়া হয়। রাত আনুমানিক ১০টার দিকে মা ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়েন। আমি আর বাবা ঘরের ভেতরে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাবা ঘরের দরজা খুলে দেখেন বারান্দায় আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মায়ের মৃতদেহ ঝুলছে।
এসময় আমি আর বাবা মায়ের মরদেহ নামিয়ে খাটের উপর রাখি। পরে বাবা কাঁদতে কাঁদকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।’
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সকালে জানতে পারি ইসলামপাড়ায় রফিক গাজীর ভাড়াটিয়া আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি মরদেহ খাটের উপর চাদর দিয়ে ঢাকা রয়েছে। এ সময় আত্মীয়রা থাকলেও নিহতের স্বামী মন্টু বাড়িতে ছিলেন না।
খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।’
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামীম হাসান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।