আবদুল্লাহ আল মামুন: মেয়েকে বার বার বিয়ে দিয়ে জামায়ের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে শাশুড়ির বিরুদ্ধে। মনিরামপুর উপজেলা নেহালপুর ইউনিয়নের নেহালপুর গ্রামের মোল্যা পাড়ার জালাল মোল্যার ছোট্ট মেয়ে মিম পারভিন মনিরামপুর হাকোবা গ্রামের তহিদের সাতে এক বছর আগে বিবাহ হয়।বিয়ের পর থেকে মীমের মা হাসিনা বেগম প্রায় মেয়েকে আটকিয়ে রাখে বাড়িতে।

মিম পারভিন তহিদের ভালবাসার টানে বার বার মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে তহিদের নিকট চলে আসে। মিম পারভিনের আগে মনিরামপুর উপজেলার খানপুর গ্রামে প্রথম বিয়ে হয়।বাচ্চা না হওয়ার সম্ভাবনায় মিম পারভিনের মা কাবিনের টাকা নিয়ে মেয়ে কে ডিভোর্স করায়।তার পর মিম পারভিন কে আরো তিন জায়গায় বিয়ে দিয়ে কাবিনের টাকা নিয়ে ডিভোর্স করায় মিম পারভিনের মা হাসিনা বেগম। সর্বশেষ গত এক বছর আগে মিম কে বিয়ে করে তহিদুল ইসলাম।বিয়ের মাস না যেতেই শুরু হয় নানা রকমের সমস্যা।জমি অথবা পাঁচ লাখ টাকা না দিলে মেয়ে কে তহিদের নিকট থেকে ডিভোর্স করিয়ে নিবে বলে জানায় শাশুড়ি।গত ২১/১২/২১ তারিখে মীম পারভিন তার বোন অসুস্থ হওয়ায় বোনকে দেখতে যায়।পরে তহিদ ফোন দিলে মিম পারভিন বলে।আমার ভবিষ্যত না করে দিলে মা তোমার বাড়িতে পাঠাবে না।তহিদ বার বার স্ত্রীকে ফোন করে বাড়িতে আসতে বললেও শাশুড়ি হাসিনা বেগম আসতে দেয়নি। উপায় না পেয়ে এক পর্যায়ে মেয়ের বাড়িতে একটা শালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিতি থেকে মিম পারভিন কে তার স্বামীর বাড়িতে আসার অনুরোধ করে।

স্বামীর বাড়িতে না আসার কারণ জানতে চাইলে শালিস বৈঠকে তহিদের স্ত্রী মীম পারভিন স্বামীর কোন দোষ দিতে পারেনি। শালিস বৈঠকে বার বার তহিদ কে অপমান করে । স্ত্রী মীম পারভিন বাড়ি থেকে চলে যাওয়ায় তহিদুল ইসলাম মনিরামপুর থানায় একটা সাধারণ ডায়রী করে। থানার অভিযোগের ভিত্তিতে মীমের বাড়িতে তদন্তে যায় এস আই কামরুজ্জামান। বিস্তারিত শুনে মীমের মা হাসিনা বেগম কে অনুরোধ করে মেয়ে কে তার স্বামীর বাড়িতে পাঠাতে। কিন্তু সেখান থেকে ব্যার্থ হয় ফিরে আসে এস আই কামরুজ্জামান। তহিদের শাশুড়িকে এক সপ্তাহের সময় দেয়া হয় চিন্তা ভাবনা করতে নিজেদের মধ্যে মিমাংসা না হলে মনিরামপুর থানায় বসে মিমাংসা করার জন্য অনুরোধ করে। পরে মীমের মা এস আই কামরুজ্জামান কে ফোন করে জানান পাঁচ লাখ টাকা অথবা মেয়ের নামে জমি লিখে না দিলে মেয়েকে আর জামাইয়ের বাড়িতে পাঠাবে না। মীম পারভিনের সন্তান হবে না জেনে তার মা এমন পস্তাব দেয়।এস আই কামরুজ্জামান মীমের মাকে বলে আপনি কি করে বুঝলেন আপনার মেয়ে মা হতে পারবে না। অতপর একই কথায় অটল থাকে মিম পারভিনের মা হাসিনা বেগম।এদিকে তহিদ তার স্ত্রী বাড়িতে আসার জন্য শাশুড়ির কাছে বার বার অনুরোধ করে।মীম পারভিনের চিকিৎসা করে যদি সন্তান না হয় দুই বছর পর মীম পারভিন কে জমি লিখে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তহিদুল ইসলাম।তার জন্য লিখিত দিতে হলেও দিবে বলে আমাদের প্রতিনিধি কে জানান তহিদুল ইসলাম।কিন্তু মীম পারভিনের মা একই ভাবে ফিরিয়ে দেয় তহিদ কে। অনেক কান্নাকাটি করেও তার স্ত্রী মীম পারভিন কে ফেরত পেলো না। অতপর তহিদ মিম পারভিন কে ছাড়া বাঁচবে না বলে ফোন কেটে দেয়।গত ৩১/১২/২১ তারিখে রাতে আত্মহত্যা করার জন্য বিষ পান করে। বিষয়টি তহিদের মা টের পেয়ে দরজা ভেঙ্গে তহিদ কে উদ্ধার করে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।দু দিন চিকিৎসা করার পর অবস্থা অবউন্নতি না হওয়ায়।তহিদ কে যশোর জেনারেল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফারেন্স করে। ০২/০১/২২ তারিক সকাল ৯ টায় যশোর নিয়ে যায় তহিদ কে। তহিদ আমাদের প্রতিনিধিদের নিকট তার স্ত্রী মিম পারভিন কে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে।

এ বিষয়ে ৬/৭ জন কে আসামী করে তহিদের বাবা একটি অভিযোগ করে।তহিদ যদি মরে যায় তা হলে এদের আইনের আওতায় আনতে অনুরোধ জানায় তহিদের মা বাবা।তহিদের মা বাবাও অনুরোধ করে তাদের বৌও মা মিম পারভিন কে ফেরত দিতে। তহিদ বিষ খাওয়ার পর থেকে মিম পারভিনের মা হাসিনা বেগম তহিদের নাম্বার ব্লাক লিস্ট করে রেখেছে।যেন মিম পারভিন তহিদের বিষ পান করে অসুস্থ হওয়ার কথা না জানতে পারে।