শেখ মোস্তফা কামাল, কেশবপুর যশোর প্রতিনিধি : আজ সোমবার (১১ অক্টোবর) ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উপলক্ষে যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার প্রতিটি মন্দিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমা শিল্পীরা। অধিকাংশ মন্দিরেই প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। পূজার সময় এলাকা এবং মণ্ডপগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থেও ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
উপজেলায় এবার ৯৮টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। শারদীয় দুর্গোৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে মন্দিরগুলোর প্রস্তুতি প্রায় শেষ। দেবীকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। সব মিলিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে প্রতিটি পূজা মন্ডপে। উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকার পূজা উদযাপন কমিটিগুলোকে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা।
গত কাল রবিবার উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ পূজা মণ্ডপেই প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ । প্রতিমা শিল্পীদের দম ফেলার সময় নেই। রঙ ও সাজসজ্জার কাজ শেষ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, উপজেলার শারদীয় দুর্গাপুজো উপলক্ষে ৯৮টি মন্দির ও মণ্ডপের অনুকূলে জি আর চাল বিতরণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইতিমধ্যে পূজা উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রস্ততিমূলক সভা করা হয়েছে। কেশবপুর থানা অফিসার ইনচার্জ বোরহান উদ্দীন বলেন, পূজার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পূজা মণ্ডপের বাইরের এলাকায় পুলিশি টহল অব্যাহত থাকবে,এছাড়া সাদা পোশাকের পুলিশ থাকবে। এছাড়াও পূজা মণ্ডপ এলাকায় মন্দিরগুলোর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা হবে। পূজার সময় কেউ আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শারদীয় দুর্গোৎসবকে শান্তিপূর্ণ করতে তাঁরা আয়োজকদের সঙ্গে সভা করেছেন। প্রতিটি মণ্ডপে যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া আনসার সদস্যসহ মণ্ডপগুলোয় সার্বক্ষণিক পুলিশের ফোর্স মোতায়েন থাকবে বাংলাদেশ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি, সিনিয়র সাংবাদিক শ্রী শ্যামল সরকার বলেন ।
সিংহবাহিনী দেবী দুর্গার আগমন এবার ঘোটকে। ১১ অক্টোবর ষষ্ঠীবিহিত পূজার পর ১২ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১৩ অক্টোবর মহাষ্টমী, ১৪ অক্টোবর সন্ধিপূজা ও মহানবমী এবং ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর পূজা শেষে বিসর্জন। প্রতিদিন সকালে দেবীর অঞ্জলি ও সন্ধ্যায় আরতি দেওয়া হবে। আগামী শুক্রবার দশমীর বিসর্জনের পর দোলায় চেপে কৈলাসে ফিরবেন উমা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।