নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মধ্যরাতে এক তরুণীর (১৮) ঘর থেকে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে (মেম্বার) আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। অভিযুক্তের নাম নাম হেলাল হোসেন (৪৮)।
সোমবার (৩ মে) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ৮ নম্বর চরএলাহী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আটক হেলাল ওই এলাকার মৃত নূরুল হকের ছেলে এবং একই ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক ইউপি সদস্য হেলাল হোসেনকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে হেলাল মেম্বার ওই তরুণীকে মোবাইল ফোনে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। সোমবার রাতে কথা আছে বলে তিনি ওই তরুণীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে স্থানীয়রা তাকে হাতেনাতে আটক করে। পরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল গত কয়েক মাস থেকে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাকে নানাধরনের কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলে আসছিলেন। সোমবার রাতে তাকে ফোন দিয়ে কথা আছে বলে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে মেম্বারকে হাতেনাতে আটক করে। এসময় তিনি বিভিন্ন সময়ের বেশ কিছু কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তার কল রেকর্ড এলাকাবাসীকে শোনান।
কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই মো. রিয়াদুল হাসান রাত ৩টার দিকে আটক ইউপি সদস্য হেলালকে থানায় নিয়ে আসেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, হেলাল নামে চরএলাহীর একজন ইউপি সদস্যকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।