অলোক মজুমদার | চিতলমারী, বাগেরহাটঃ খাসেরহাট বাজারের ইজারা দরপত্র জমা দেওয়ায় গৌতম কুমার বিশ্বাস নামে এক যুবককে মারধর করা হয়।ঘটনাটি ঘটে বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার উপজেলা চত্ত্বরে।তাকে উদ্ধার করে চিতরমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনা ঘটায় চিতলমারী উপজেলার ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি ওয়াহিদ্দুজ্জামান খলিফা ও তার লোকজন।

    ৩১মার্চ বুধবার দুপুর বেলায় চিতলমারী ইউএনও অফিসের সামনে থেকে তুলে নিয়ে মারা হয়।গৌতম চিতলমারী উপজেলার খাসেরহাটের বিশ্বদেব বিশ্বাসের পুত্র। চরবানিয়ারী আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বাবু রনজিন কুমার বাড়ৈর পক্ষে খাসেরহাট বাজারের ইজারাপত্র জমা দেয়।

     থানা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে রক্ষিত টেন্ডার বক্সে দরপত্র জমা দিই।ক্ষিপ্ত হয়ে  ওয়াহিদুজ্জামান  তার ভাই,সুকুমার ঘটকের নেতৃত্বে আমাকে একবার মারধর করার পর তুলে নিয়ে পুনরায় আওয়ামী লীগের অফিসের ভিতর নিয়ে কোদালের হাছারি,বরফ ভাঙ্গা মুদুর দিয়ে গুরুতরো জখম করে আমাকে এমনি তথ্য দেয় গৌতম বিশ্বাস।

    তিনি আরো বলেন আমি মাত্র জমা দিতে এসেছিলাম।উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু অশোক কুমার বড়ালের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালাগালিকরে এই ওয়াহিদ।এতে নদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নিজাম উদ্দিন প্রতিবাদ করলে তাকে গালাগালি করেওয়াহিদ।এতে ওয়াহিদুজ্জামানের লোকজন এবং চেয়ারম্যানের লোকজনের মধ্য উত্তেজনা দেখা দেয়।

      ওয়াহিদ সাংবাদিকদের বলে খাসেরহাট বাজারের দরপত্র স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমঝোথার কথা ছিলো।কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যানের ইন্দনে দরপত্র জমা দেওয়া হয়।জমা দেবার কারন জানতে চেয়ে তাকে দু’একটি চড় থাপ্পর দিয়েছি।

      আওয়ামী লীগ, যুবলীগের মধ্যে দরপত্রের সমাধান হয়েছে একথা সত্য নয় বললেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বাবু পীযুষ কান্তি রায়। আওয়ামী লীগের কোন নেতা কর্মী টেন্ডারবাজির সাথে যুক্ত নয়।আওয়ামীলীগকে বিতর্কিত করতে এক শ্রেনির লোক অপপ্রচার করছে।এ ঘটনা দুঃখজনক।

    চিতলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন উপজেলা চত্ত্বর থেকে গৌতমকে মারধর করেছে ওয়াহিদ ও তার লোকজন।সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম সাহেব প্রতিবাদ করলে তাক গালাগালি করা হয় যা অশোভনীয়।

   থানা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ লিটন আলী বলেন,আমার দপ্তরে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি তবে উপজেলা চত্ত্বরে ঘটেছে বলে শুনেছি।

    থানা পুলিশ কর্মকর্তা মীর শরিফুল হক বলেন ঘটনা ঘটেছে শুনেছি কিন্তু কেহ অভিযোগ করেনি।অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেবে চিতলমারী থানা পুলিশ।