নুরুজ্জামান সরকার, জেলা প্রতিনিধি (নীলফামারী): নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে ডিমলা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন।
তিস্তার তীব্র স্রোতে ভেন্ডাবাড়ীতে সলেডি স্প্যার বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় শতাধিক বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকে অন্যত্র ঘরবাড়ি সরিয়ে নিলেও বেশির ভাগ ঘর-বাড়ি ও আবাদী জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। টেপা খড়িবাড়ীর ময়নুল ইসলাম বলেন, তিস্তা নদীর ভাঙন অব্যাহত থাকায় আমাদের স্বেচ্ছা শ্রমের তৈরি বাঁধটির ৬০০ মিটার ভেঙে নদীতে তলিয়ে গেছে, ফলে হেক্টরের পর হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুর রহমান বলেন, রবিবার দিবাগত (সোমবার) রাত ২টার দিকে স্প্যার বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার খবর শুনে আমরা বালুর বস্তা ফেলে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা চালাই। কিন্তু নদীর তীব্র স্রোতের কারণে কোন চেষ্টাই সফল হয়নি। পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল লতিফ খান বলেন, তিস্তা নদীর ভাঙনে ঝাড় সিংহের চরে ৮ পরিবারের বসতভিটা তিস্তা নদীর বুকে হারিয়ে গেছে। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়শ্রী রানী রায় বলেন, স্প্যার বাঁধ ভেঙে আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকাসহ অনেক পরিবার প্লাবিত হয়েছে, ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর মাঝে শুকনো খাবার বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা বলেন, ভাঙনের খবর পেয়ে সেসব স্থান পরির্দশন করা হয়েছে। এলাকাগুলোর অবস্থা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেকে জানানো হয়েছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধির প্রভাবে ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ৮ হাজার পরিবার দুর্ভোগে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ সেল এর তথ্য মতে গতকাল সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩ মিলিমিটার।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।