নুরুজ্জামান সরকার,জেলা প্রতিনিধি (নীলফামারী): “যেখানে নেই ধর্ম শিক্ষা, সেখানে নেই প্রকৃত জ্ঞান” এরই ধারাবাহিকতায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৭নং খালিশা চাপানী ইউনিয়নের (০৩নং ওয়ার্ড) কাকিনা চাপানী গ্রামে এলাকাবাসীর উদ্যোগে একটি মাদরাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠারলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৮- অক্টোবর) বাদ মাগরিব হতে রাত ০৯ ঘটিকা পযন্ত মাদরাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে মরহুম হাজী নিজামুদ্দিন সাহেবের বাসাভবনে কোরআন ও হাদিস থেকে মানুষকে ধর্মীয় শিক্ষার বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে ইসলামিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মতবিনিময় শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মতবিনিময় সভায় মরহুম হাজী নিজামুদ্দিন সাহেবের কনিষ্ঠ পুত্র নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন মোঃ রফিকুল ইসলাম।

প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আলহাজ্ব মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন (মোহতামিম আল জামিয়াতুর মাদ্রাসা ও এতিমখানা আনন্দ বাবুর পুল, নীলফামারী)। বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা মোঃ আনিছুর রহমান, মাওলানা মোঃ নাজমুল হোসাইন আল-মোবারক( মোহতামিম, ডালিয়া কওমি মাদ্রাসা,ডিমলা,নীলফামারী। এছাড়াও অংশ গ্রহণ এ উপস্থিত ছিলেন, ৭নং খালিশা চাপানী ইউনিয়ন এর সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সামছুল হক (হুদা), বিশিষ্ট ঠিকাদার ও সমাজসেবক মোঃ আলহাজ্ব মাফিকুল ইসলাম, ড্রাইভার মিজানুর ইসলাম সহ মুসলমান ধর্ম প্রাণ সাধারণ ব্যক্তিবর্গ। আরজগুজার মরহুম হাজী নিজাম উদ্দিন সাহেবের সহধর্মিনী মোছাঃ শান্তি বেগম ও মরহুম হাজী নিজাম উদ্দিন সাহেবের কনিষ্ঠ পুত্র নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ মশিউর রহমান ও তাদের ওয়ারিশগণ তাদের বাড়ির সামনের ফসলি জমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠার জন্য দাম করেন। আরজগুজার মরহুম হাজী নিজাম উদ্দিন সাহেবের কনিষ্ঠ পুত্র নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ মশিউর রহমান বলেন, আমাদের দুনিয়ার জীবনের হায়াত খুবই সংক্ষিপ্ত এই জীবনে এ ধন, সম্পদ টাকা-পয়সা বাড়ি-গাড়ি কোন কিছু আখিরাতের জীবনে কাজে আসবে না ।

আখিরাতের কাজে আসবে শুধু ঈমান ও আমল আমরা দুনিয়াতে একদা ছিলাম না । এখন আছি একদিন থাকবো না ইসলাম ধর্ম কিন্তু কেয়ামত পর্যন্ত বাকি থাকবে। আমাদের এলাকায় আগে কোনো মাদ্রাসা ও এতিমখানা ছিল না এর ফলে ইসলামের শিক্ষা থেকে পিছিয়ে আছে এলাকার সন্তানেরা।এই বিষয়টি চিন্তা করে আমি, আমার মা ও এলাকাবাসী এই সিদ্বান্ত নিয়েছি যে এলাকায় একটি মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করবো। তিনি আরো বলেন, আমাদের এলাকার সন্তানকে যদি দ্বীন শিক্ষা না দেই তবে আস্তে আস্তে তাহারা বেদ্বীন হইয়া যাইবে । হাদীসে বর্ণিত হয়েছে একজন কুরআনের হাফেজ ১০ জন জাহান্নামী ব্যক্তিকে সুপারিশ করিয়া জান্নাতে হইয়া যাইবে । আরো বর্ণিত হয়েছে যে, যে ব্যক্তি কোরআনের একটি অক্ষর পড়িবে তাহাকে দশটি নেকী দেওয়া হবে । আরও এরশাদ হয়েছে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ঐ ব্যক্তি , যিনি নিজে কুরআন শরীফ পাঠ করেন এবং অন্যকে শিক্ষা দেন ।

প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য দ্বীনি এলেম শিক্ষা করা ফরজ। এই প্রতিপাদ্য বিষয় সামনে রেখে মরহুম হাজী নিজামুদ্দিন সাহেবের কনিষ্ঠ পুত্র ডাঃ মোঃ মশিউর রহমান তার নিজ বাসভবনে মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করবেন বলে জানিয়েছেন। উল্লেখ যে, উক্ত মাদ্রাসা ও এতিমখানা স্থাপনের জন্য মরহুম হাজী নিজামুদ্দিন সাহেবের স্ত্রী ওয়ারিশবর্গ অনেক জমি দান করেছেন। পরবর্তী সময়ে ও করবেন যাতে করে হাজার হাজার কোরআনের পাখি মাদ্রাসায় কোরআনের শিক্ষায় আলোকিত হতে পারে। এছাড়াও উপস্থিত জনসাধারণ এর পক্ষ থেকে আনুমানিক ৩ লক্ষ টাকা উত্তোলন হয়েছে।

পরিশেষে ডাঃ মোঃ মশিউর রহমান সর্বস্তরের মানুষের কাছে দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন। যাতে করে উত্তরবঙ্গের নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা খালিশা চাপানীর কাকিনা চাপানী গ্রামে আলোয় আলোকিত উন্নতমানের একটি মাদ্রাসা ও এতিমখানা তৈরি হয়। সেখানে হাজার হাজার কোরআনের পাখি কোরআন শিক্ষা নিয়ে আলোকিত হতে পারে।