অবশেষে পটুয়াখালীর দুমকিতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফোরলেনের পায়রা সেতুতে যানবাহন চলাচলের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। আনুষঙ্গিক অন্যান্য নির্মাণ সম্পন্ন করে চলতি ২০২১ সালের ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে দুইটি অ্যাবাটমেন্ট ও ৩১টি পিয়ারের সেতুটির প্রায় ৯৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে দু’পরের স্প্যানের জোড়া মিলে স্বপ্নের সেতুটি এখন দৃশ্যমান।

প্রকাশিত গেজেট সূত্রে জানা যায়, পায়রা সেতুতে ট্রেইলার ৯৪০ টাকা, হেভি ট্রাক ৭৫০, মিডিয়াম ট্রাক ৩৭৫, বড় বাস ৩৪০, মিনি ট্রাক ২৮০ টাকা, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যান ২২৫, মিনিবাস-কোস্টার ১৯০, মাইক্রোবাস ১৫০, ফোর হুইলচালিত যানবাহন ১৫০, সেডান কার ৯৫, ৩-৪ চাকার যান ৪০ টাকা, মোটরসাইকেল ২০, রিকশা, ভ্যান, সাইকেল, ঠেলাগাড়ি ১০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।

পায়রা সেতুর প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. আবদুল হালিম জানান, বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ৩৯ কিলোমিটারে পায়রা নদীর ওপর ‘লেবুখালী সেতু’ নির্মাণের মধ্য দিয়ে উপকূলের ৫০ লাখ মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।

ইতোমধ্যে ৩১টি পিয়ারের সেতুটির দুই পাড়ের স্প্যানের জোড়া মিলে সম্পূর্ণ সেতুটি এখন দৃশ্যমান হয়েছে। দ্রুত বাকি কাজ সম্পন্ন করে চলতি ২০২১ সালের ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।

ব্রিজটির প্রাক্কলিত নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ব্রিজটি যান চলাচলে উন্মুক্ত হলে পটুয়াখালী-বরগুনা জেলাসহ উপকূলীয় অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থায় সৃষ্টি হবে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। খুলে যাবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার সম্ভাবনার দ্বার।