আজাদুল বারী, নাটোর বড়াইগ্রাম প্রতিনিধিঃ বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবীতে নাটোরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের সাথে-বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপে নাটোর সদর থানার ওসি মুনসুর রহমান, দৈনিক যুগান্তরের নাটোর প্রতিনিধি শহিদুল হক সরকার, বাংলাভিশনের স্থানিয় প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম সহ অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে থানার ওসি এবং সাংবাদিক শহিদুল হক সরকারকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহত ওসি-সাংবাদিক নাটোরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত সদর থানার ওসি মুনুছুর রহমান এবং সাংবাদিক শহিদুল হক সরকার। সূত্র জানায়, দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবীতে সকালে শহরের আলাইপুরস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকে দলীয় নেতা-কর্মিরা।

এসময় সমাবেশশান্তিপূর্ন করতে নেতাকর্মিদের নির্দেশ দেয়া হলেও বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তারা। এসময় পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ শুরু করে। পরে নেতাকর্মিরা পাল্টা ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশও টিয়ারশেল রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে ইটের আঘাতে সদর থানার ওসি মুনসুর রহমান, দৈনিক যুগান্তরের নাটোর প্রতিনিধি শহিদুল হক সরকার, বাংলাভিশনের স্থানিয় প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম সহ অন্তত ১৫জন আহত হয়।

পরে আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে বিএনপির কার্যালয় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ নাটোরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে লাঠিচার্জ করছে পুলিশ সদস্যরা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক জানান,

পুলিশের লাঠি চার্জে কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর স্ত্রী ছাবিনা ইয়াসমিন ছবি সহ অন্ত ২০নেতা কর্মী আহত হয়েছে। তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশই করছিল। কিন্তু পুলিশের হঠাৎ লাঠিচার্জেল কারনে নেতা কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সদর থানার ওসি সহ তাদের দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।