হৃদয় আহমেদ | কলমাকান্দা: এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য জনপ্রতিনিধিদেরকে ধর্ণা দিয়েও কাজ হয়নি গ্রামবাসীর। অবশেষে নিজেরাই টাকা দিয়ে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৬ ফুট উচ্চতা ও ১২ ফুট চওড়া বিশিষ্ট এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করেন।
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের পালপাড়া-পাঁচকাঠা সড়ক থেকে কয়ড়া পূর্বপাড়া আনোয়ার হোসেনের বাড়ি পর্যন্ত এমনি একটি রাস্তা নির্মাণ করে আলোচনায় এসেছে গ্রামবাসী।
স্থানীয়দের দাবি একাধিকবার রাস্তার বিষয়টি নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করলে শুধু তারা প্রতিশ্রুতিই দিয়েছে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এই এক কিলোমিটার রাস্তার জন্য দীর্ঘ দিন যাবৎ কষ্ট করে আসছে গ্রামের মানুষ। অবশেষে নিরুপায় হয়ে ৩০টি পরিবার মিলে নিজেদের টাকায় এক কিলোমিটার রাস্তাটি নির্মাণ করে।
রাস্তাটির পাশে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুইটি মাদ্রাসা। এই রাস্তাটি নির্মাণের ফলে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীসহ সাতটি গ্রামের অন্তত সাত হাজার মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়েছে।
জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ থানার কম্পিউটার অপারেটর পুলিশ কনস্টেবল পদে কর্মরত নিজাম উদ্দিন জয় কয়ড়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় তিনি জানান, আমি ও আমার ফুফাতো ভাই সুরুজ মিয়ার উদ্যোগে গ্রামবাসী মিলে নিজেদের টাকায় রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গ্রামটি অনেকটা পিছিয়ে। দীর্ঘদিনের দাবী ছিল এই এক কিলোমিটার রাস্তা পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তার সঙ্গে সংযোগ করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
সারাদেশে যেখানে সরকারি অর্থায়নে ও ব্যবস্থাপনায় সড়ক নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে, সেখানে স্থানীয়দের নিজ অর্থায়নে কেন রাস্তা নির্মাণ করতে হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ বাবুল বলেন, আমার পরিষদ থেকে ওই রাস্তাটি নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নিলে এলাকার লোকজন মাটি কাটতে বাঁধা দেয়। তাই রাস্তাটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। শুনেছি এখন তারা নিজেদের উদ্যোগে রাস্তাটি নির্মাণ করেছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।