নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চাচই গ্রামে এক পাষন্ড দেবরের লাথির আঘাতে ৩ মাসের ভ্রুন নষ্ট হলো ভাবীর।

সুত্রে জানা যায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারী বিকালে লোহাগড়ার চাচই গ্রামের জাবের আলী শেখের মেয়ে জুবায়দা বেগম (১১)কে তার সৎ চাচা ফুলমিয়া শেখের ছেলে জুনায়েদ শেখ (২৬) পানির ট্যাংকিতে প্রসাব করা ঘটনা নিয়ে মারধর করলে জুবায়দার মা শুনতে গেলে সৎ দেবর জুনায়েদ এর সংগে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জুনায়েদ ( ২৬) শিল্পি বেগমের চুল ধরে মাটিতে ফেলে দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারতে থাকে এবং পেটে ৩/৪ টা লাথি মারে। সেই সংগে শিল্পীর সৎ নোনদ নারগিস বেগম ( ৩২) ও ভাইর সংগে মারধর করে।

এসময় শিল্পি বেগমের ডাক চিৎকারে পাশের লোকজন উদ্ধার করে তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এম ও ডাঃ আব্দুল্লা আল মামুনের সংগে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন শিল্পী বেগমের ভ্রুন পরীক্ষা ও নীরিক্ষায় দেখায়ায় মৃত। এখন রোগীর উন্নত চিকিৎসার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এবিষয়ে শিল্পি বেগম এর স্বামী জাবের এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি ঢাকায় চাকরি করি,বাড়িতে না থাকায় আমার সৎ মা,ভাই,ওবোন মিলে আমার বউয়ের এই অবস্থা করছে আমি কেচ করবো এর বিচার চাই।

১লা মার্চ সোমবার সরেজমিনে গিয়ে জুনায়েদ কে বাড়িতে না পেয়ে সৎবোন নারগিস এর কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা অশিকার করেন এবং তার ফোন দিয়ে লোহাগড়া থানার পুলিশ সহ বিভিন্ন লোক দিয়ে ফোন করিয়ে সাংবাদিকদের হেনস্তা করার চেষ্টা করেন। এসময় উপস্থিত কয়েকজন লোকের সাথে কথা বলে তারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন অনেক বার ওই শিল্পি কে এর আগে জুনায়েদ মারধর করেছে এবং ওই দিন ও মারছে।

এঘটনায় জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমার ওই বিষয়ে জানা নাই। লোহাগড়া থানার জয়পুর ইউনিয়নের বিট পুলিশ এসআই গোরাচাঁদ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন ঘটনা শুনেছি অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ নিবো।

কলমকথা/হুমায়ূন