মোঃ আসাদুল হক সবুজ, বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ বরগুনায় যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্ত্রীর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে পাষণ্ড স্বামীর বিরুদ্ধে।

গত ১৮ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যা ৭টার সময় সদর উপজেলার ১০নং নলটোনা ইউনিয়নের গাজী মাহমুদ গ্রামের মৃত মজিদ মিয়ার ছেলে ও ভুক্তভোগী গৃহবধুর স্বামী রেজাউল ইসলাম পনুর বাড়িতে এঘটনা ঘটেছে বলে জানান ভুক্তভোগী গৃহবধু।

ভুক্তভোগী গৃহবধু রুমা ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর পূর্বে ১লক্ষ টাকা দেনমোহরে সদর উপজেলার ১০নং নলটোনা ইউনিয়নের গাজী মাহমুদ গ্রামের মৃত মজিদ মিয়ার ছেলে রেজাউল ইসলাম পনুর সাথে ২নং গৌরিচন্না ইউনিয়নের সোনার বাংলা গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিন আকনের মেয়ে রুমানা ইসলামের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর শশুড় বাড়ী থেকে চাকুরি ও প্রবাসে যাওয়ার জন্য সাড়ে ৪লক্ষ টাকা ফেরৎ দেওয়ার চুক্তিতে নিয়েও আর ফেরৎ দেয়নি অভিযুক্ত পনু মিয়া।

অভিযুক্ত পনু মিয়া ৪বছর পর মালয়শিয়া থেকে ফিরে এসে ভুক্তভোগী গৃহবধু রুমাকে তার বাবার বাড়ি থেকে আবারও ৪লক্ষ টাকা যৌতুক নিয়ে দিতে বললে অস্বীকৃতি জানায় ভুক্তভোগী রুমা। ঘটনার দিন (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার সময় যৌতুক টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ধারালো চাকু দিয়ে স্ত্রী রুমার মাথায় কোপ মারে পাষন্ড স্বামী রেজাউল ইসলাম পনু মিয়া ও এলোপাথাড়ি মারধর করে স্বামী পনু ও ভাসুর জেল হক।

এতে গুরুতর আহত হন ভুক্তভোগী গৃহবধু রুমা। ভুক্তভোগী গৃহবধু রুমা বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তার বাবার বাড়িতে আছেন।
ভুক্তভোগী রুমা আরো বলেন, আমার (রুমা) অনুমতি ছাড়াই ৮/৯ মাস আগে কারিমা নামের একজনকে দ্বিতীয় বিবাহও করেছেন আমার স্বামী অভিযুক্ত রেজাউল ইসলাম পনু।

যৌতুকের দাবীতে আমার স্বামী পনু আমার মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করেছে এবিষয় আমি বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গত ২১ অক্টোবর এম/পি ৪১০/২০২১নং নালিশি দরখাস্ত দায়ের করেছি। নালিশি দরখাস্তটি বর্তমানে ফাইলিং অবস্থায় আদেশের জন্য অপেক্ষায় আছে।

অভিযুক্ত রেজাউল ইসলাম পনুর সাথে বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে, এম তারিকুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে বরগুনা থানায় এখন পর্যন্ত কেহ কোন অভিযোগ করে নি বা থানায়ও আসেন নাই।