ডেস্ক রিপোর্টঃ
আজ ৬ এপ্রিল রাত ১০ টার দিকে মণিরামপুর উপজেলার ১৪ নং দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিপ্রকোনা গ্রামবাসীর একাধিক মালিকানায় দেওয়া মাছের ঘেরে হঠাৎ করেই কোন জমির মালিককে না জানিয়ে ২ টি (তিলোস্কার ২০-২২) মেশিন রাস্তা কেটে বসিয়ে প্রতি মেশিনে টপ ফিট করে প্রতি মেশিনে ৩০ লিটার তেলে সেচের কাজ শুরু করে।
অত্র গ্রামবাসী বিপ্রকোনা সহ শ্যামনগর গ্রামবাসী খবর পেয়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন লোক সরেজমিন যাই সেখানে গিয়ে ২ টি (তিলোস্কার) মেশিন রানিং অবস্থায় সোহেল হোসেন (১৯) পিতা শওকত গাইং সহ নাম না জানা ২ জনকে পাই, এবং মেশিন বন্ধ করতে বলে সেখানে সোহেল বলে আমরা বন্ধ করতে পারবো না আমার শ্রমিক হিসাবে আছি অন্য গ্রামবাসীর কেও যেন মেশিন বন্ধ না করে তার জন্য জোর গলায় নিষেধ করে, তখন এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে মেশিন বন্ধ করে দেয়
সরেজমিন সোহেলের সাথে কথা বললে সে ‘কলমকথা’কে জানাই তার সাথে আরো সুব্রত সরকার (২৮) পিতা সরজিৎ সরকার ও সন্জয় দাস পিতা সুবল দাস উভয় সাং শ্যামনগর এবং লিটন হোসেন পিতা বাবুরালী সাং দত্তকোনা জড়িত রয়েছে। তৎখনিক চলমান সময়ে ঘটনাস্থলে মটর সাইকেল যোগে সুব্রত সরকার আসে তখনই এলাকাবাসী তাকে আটকে রেখে বলে যার বা যাদের অর্ডারে সেচের কাজ শুরু করেছ তাদের ঘটনাস্থলে আসতে বলো। সে ‘কলমকথা’কে জানাই সে নিজে এ সেচ কাজে জড়িত নেই তবে আজ সন্ধ্যাঁর পরে শওকত (সোহেলের পিতা), লিটন, সোহেল, সন্জয় মেশিন সহ তাকে এসে বলে চেয়ারম্যান (মাযাহারুল আনোয়ার ১৪নং ইউপি) তাদের এই জায়গা সেচ করতে বলেছে তাই সে তাদের সাহায্য করছিলো। এই সেচের সাথে শওকত গাইং, তার ছেলে সোহেল সহ সন্জয় সর্ব সাং শ্যামনগর লিটন সাং দত্তকোনা জড়িত রয়েছে।
অত্র গ্রামবাসীর সাথে কথা বললে তারা ‘কলমকথা’কে জানাই “এক সময় এই জমির পাশ দিয়ে শ্রীনদী ছিলো যা এখন পুরোই বিলুপ্ত, সে জায়গায় কেউ পুকুর কাটেছে, কেউ মাটি ভরে চাষি জমি বানাইছে, তারা যে জলাকার সেচ শুরু করেছিল মোট জলাকার ৫৫-৬০ বিঘার মত তার মধ্য সেখানে খাস অল্প ১০% আর যেখানে তারা মাছ চাষ করেছে এটা তাদের পৈতৃক সম্পত্তি আর যদি সরকার কোন নিয়মে সবজায়গাতে সেচ শুরু করে তবে অবশ্যই তাদের আমিন এনে জমি মাপতে হবে আমাদের জমি বের করে তারপর শ্রীনদী সেচ শুরু করতে হবে তারা আরো জানান সেচ কতৃপক্ষের এলাকাবাসীর সাথে কথা বলা উচিৎ ছিলো, মেশিন লাগানোর পূর্বে তাদের জানানো উচিত ছিল।কেউ কিছু জানাইনিতার জন্যি আমরা উপস্থিত সকলের মতামতে মেশিন বন্ধ করে দিছি দরকার হলি যারা মেশিন লাগায়ছে তারা চেয়ারম্যান, আমিন (জমি পরিমাপক) সহ আসুক আমরা সবাই থাকি জমি মাপ হোক তার পরে একটা সিদ্ধান্ত হবেনে”
ঠিক কী কারনে মেশিন লাগানো হয়েছে সেটা জানা যাইনি তবে সবার দাবি এটা সরকার ঘোষিত কোন সেচ নয় বরং কাউকে না জানিয়ে জোর পূর্বক খাস জমির দোহাই দিয়ে মাছ উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে তারা।
এবিষয়টি নিয়ে এলাকাতে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি দেখা দেয়।জোরপূর্বক সকল জমি খাস দেখিয়ে দখল করার চেষ্টা করছে।গ্রামবাসীর দাবি প্রশাসন যেন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে এটাই তাদের প্রত্যাশা।
কলমকথা/𝙷𝙺𝚂
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।