মনিরামপুরের এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক এক দিনমজুরের ক্রয়কৃত জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে। পরিত্রান পেতে ভুক্তভোগী আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। জানাযায়, উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামের মৃত প্রফুল্ল চন্দ্র মন্ডলের পুত্র দিনমজুর মহাদেব মন্ডল ২০০৩ সালে একই এলাকার রাখাল চন্দ্র মন্ডলের পুত্র মনোরঞ্জন মন্ডলের কাছ থেকে বাড়ির পাশেই দুই দফায় মোট ৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের পর থেকে মহাদেব মন্ডল ওই জমি ভোগদখল করে আসছে। ওই জমিতে তিনি নারিকেল, ছফেদাসহ বিভিন্ন প্রজাতের গাছ এবং শাক-সবজি চাষ করে আসছিলেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে ১৮ বছর পর গত ১৪ জুন বিকেলে আলিপুর গ্রামের মৃত নিরঞ্জন মন্ডলের পুত্র কুমার বিশ্বজিত মন্ডল ও তার লোকজন জোরপূর্বক ওই ৯ শতাংশ জমি দখলের পর মাটি ফেলাসহ বাঁশ দিয়ে ঘিরে রেখেছে এবং জমির মালিকানা দাবি করে নিজের নামে একটি সাইনবোড ঝুলিয়েছেন। ঘেরা ও মাটি ফেলার সময় বাঁধা দেওয়া হলেও মহাদেব ও তার পরিবারবর্গকে মারপিটসহ জীবন নাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে মহাদেবের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিরসন করতে না পেরে মহাদেব মন্ডল আদালতের স্মরনাপন্ন হন। মহাদেব মন্ডল বাদি হয়ে গত ১৬ জুন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে কুমার বিশ্বজিত মন্ডল, করুনা মন্ডল, নিতাই মন্ডলের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মহাদেব মন্ডলের আইনজীবী তপন কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, ছুটির পর আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে এ ব্যাপারে বিচারক শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত নির্দেশনা দিবেন।
তবে কুমার বিশ্বজিৎ মন্ডল দাবি করেন, ‘দীর্ঘদিন তার পৈত্রিক জমি মহাদেব মন্ডল অবৈধভাবে ভোগদখল করে আসছিলেন। এই ৯শতাংশ জমি তার পৈত্রিক এবং ক্রয়কৃত। এখন আমার জমি আমি দখলে নিয়ে নিয়েছি।
এ ব্যাপারে মনিরামপুর থানার ওসি (সার্বিক) রফিকুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশনা পেলে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।