মসজিদের নির্মাণকাজ চলমান থাকায় বিকল্প জায়গায় নামাজ আদায় করতে চেয়েছিলেন মসুল্লিরা। কিন্তু স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাতে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন মসুল্লিরা।
জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ চরবংশি ইউপির মোল্লারহাট বাজার জামে মসজিদে বিভিন্ন জায়গায় ফাঁটল দেখা দেওয়ায় নতুন করে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি। এজন্য মসজিদের পাশেই ইউপি কার্যালয় ও আশ্রয়কেন্দ্রের নিচতলায় ফাঁকা জায়গায় কয়েক মাসের জন্য নামাজ আদায়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বিষয়টি জানিয়ে গত ৯ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত আবেদনও করেন মসজিদ কমিটির সভাপতি। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু ফরায়েজি ওই স্থানে নামাজ আদায়ে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন মুসল্লিরা।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে শুক্রবার দুপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন মুসুল্লিরা। প্রথমে মোল্লারহাট বাজার জামে মসজিদে বিক্ষোভ হয়। পরে জুমার নামাজ শেষে মোল্লারহাট বাজার ও বেড়িবাঁধ সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় তাদের কর্মসূচিতে স্থানীয় এলাকাবাসীও যোগ দেন।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও মসজিদের সভাপতি আবদুর রশিদ মোল্লা জানান, ৩০ বছরের পুরনো এ মসজিদে বাজারের প্রায় তিনশ ব্যবসায়ী ও গ্রামবাসী নামাজ পড়েন। মসজিদের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেওয়ায় গত ১৪ দিন ধরে তা ভেঙে ফেলে নতুন করে নির্মাণের প্রস্তুতি নেয় কমিটি।
তিনি বলেন, মসজিদের পাশেই ইউপি কার্যালয় ও আশ্রয়কেন্দ্রের নিচতলায় ফাঁকা জায়গায় কয়েক মাসের জন্য নামাজ আদায়ের উদ্যোগ নিয়ে ৯ মার্চ ইউএনওর কাছে লিখিত আবেদনও করা হয়। কিন্তু নামাজ পড়তে বাধা দিচ্ছেন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরাজি। কে বা কারা আশ্রয়কেন্দ্রে বসতঘর তুলছে- এমন অভিযোগ তুলে সেখানে নামাজ পড়তে দেওয়া হচ্ছে না।
মোল্লারহাট বাজার ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা কুদ্দুস মাস্টার ও হাসিম গোলদার জানান, মসুল্লিদের নামাজ পড়ার স্বার্থে এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে একটি জামে মসজিদ নির্মাণের কাজে হাত দেয়। অস্থায়ীভাবে কিছুদিনের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রের নিচে ফাঁকা জায়গায় নামাজ পড়বেন মসুল্লিরা। এতে বাধা দিয়ে বিভিন্ন হুমকিসহ মারপিটের পরিকল্পনা করছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থেকে বহিষ্কৃত আবু সালেহ মিন্টু ফরাজি।
এ বিষয়ে দক্ষিণ চরবংশী ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু ফরায়েজি বলেন, ইউপি কার্যালয়ের নিচতলায় ফাঁকা জায়গায় নামাজ আদায়ের বিষয়ে কেউ আমাকে জানায়নি। উল্টো সংবাদ পেয়েছি, মোহন হুজুর নামের এক ব্যক্তি ওই জায়গায় ঘর তোলার উদ্যোগ নেওয়ায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল জানান, ইউপি পরিষদ ভবনের নিচতলায় ঘর তোলার বিষয়ে লিখিত অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।