রাজশাহীতে চাঁদাবাজি করার সময় পুলিশের এক কনস্টেবলকে হাতেনাতে ধরে গণপিটুনি দিয়েছেন এলাকাবাসী।

এ সময় ক্ষুব্ধ জনতার কাছ থেকে পুলিশের ওই সদস্যকে উদ্ধার করে থানায় সোপর্দ করেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মহানগরীর হেতেমখাঁ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গণপিটুনির শিকার ওই পুলিশ সদস্যের নাম মিজানুর রহমান। তিনি রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) বায়া ফাঁড়িতে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম তজু অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল মিজানুর রহমানের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মহানগরীর হেতেমখাঁ সবজিপাড়ায় একটি ছাত্রাবাসের এক ছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গত রোববার টাকা দাবি করেন কনস্টেবল মিজানুর রহমান। এ সময় তিনি ওই ছাত্রের কাছ থেকে ছয় হাজার টাকা আদায় করেন এবং আরও ১০ হাজার টাকা দাবি করেন।

কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম তজু জানান, সোমবার রাতে হেতেমখাঁ সবজিপাড়ায় তার কার্যালয়ের সামনে কনস্টেবল মিজানুর রহমান চাঁদাবাজি করতে এলে এলাকাবাসী তাকে হাতেনাতে ধরে গণপিটুনি দেন। এ সময় তিনি নিজে এলাকাবাসীর কাছ থেকে সাদা পোশাকে থাকা কনস্টেবল মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন।

এ ব্যাপারে বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, পুলিশ কনস্টেবল মিজানুর রহমান অন্য এলাকা থেকে এসে অপকর্ম করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ কারণে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।