সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর আদাং গ্রামে চাদাঁ না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধর করে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া এবং জোর পূর্বক বালু বিক্রয় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটে ৮মে শনিবার বিকেলে।
এঘটনায় বিশ^ম্ভরপুর থানাধীন আদাং গ্রামের বাসিন্দা মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে বালু ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৪জনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ সুপার বরাবর এবং বিশ^ম্ভরপুর থানায় আলাদা দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন একই এলাকার আদাং গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল বারেকের ছেলে নূর হোসেন(৫০), মৃত: আব্দুস সাত্তারের ছেলে বাবুল মিয়া(৩৫), রুবেল মিয়া (২৫), ডলুরা গ্রামের মৃত আব্দুল বারেকের ছেলে আমির হোসেন (৪০)সহ অজ্ঞাত নাম আরও ৪জনকে রেখে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়।
জানাযায় জালাল উদ্দিন একজন বালু ব্যবসায়ী হন নিজের নামে রেকডিও বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার রতারগাও মৌজা,যার চলমান জে এল নং২৮,খতিয়ান নং-৮৫৪,বর্তমান দাগ নং-১২৩৩,১২৫৩,পরিমানঃ২.১৪ একর যা আদাং নদীর তীরে অবস্থিত জায়গা রয়েছে এবং পার্শবর্তী ভ’মির মালিক অভিযুক্ত বাবুল মিয়াগংদের জায়গাও রয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয় বিভিন্ন সময়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ব্যবসায়ী জালাল মিয়ার কাছে ৫০হাজার টাকা চাদাঁ দাবী করে এবং টাকা দেওয়ার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে। চাদাঁ দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় বিবাদীগংরা মিলে জালাল উদ্দিনের বালু রকম ভুমি জোর পূর্বক ড্রেজার মেশিন দ্বারা নৌকা দিয়ে বালুউত্তোলন করে বিক্রি করতে থাকে।
ঘটনার দিন খবর পেয়ে জালাল উদ্দিন গত ৮মে শনিবার বিকেলে আদাং গ্রামে নদীর পাড়ে গিয়ে তার থেকে বালু উত্তোলন করতে বিবাদীদের বাধাঁ দিতে গেলে বিবাদীগংরা তাকে মারধর করে নগদ ৪০হাজার টাকা একটি মোবইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং জালাল উদ্দিনকে মারধর করে আহত করে প্রাণে মারার হুমকি দেয় বলে অভিযোগে সুত্রে জানা যায়। ঘটনার পর আহত অবস্থায় জালাল উদ্দিন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ৯মে রবিবার পুলিশ সুপার এবং বিশ^ম্ভরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এব্যাপারে বিশ^ম্ভরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ সুরঞ্জিৎ তালুকদার বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।