গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধিঃ সরকারের আশ্বাসের পরেও গঙ্গাচড়ায় আশানুরুপ বিদ্যুৎ পরিস্থিতির এখনো উন্নতি হয়নি। সাধারণ মানুষ যখন দিনব্যাপী বিভিন্ন পেশায় পরিশ্রম করে রাতে বাড়ি ফিরছে একটু আরামে ঘুমাবে, ঠিক তখনোই শুরু হচ্ছে বিদ্যুৎতের লুকোচুরি । এনিয়ে সাচ্ছ্যন্দ প্রিয় সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ।প্রতিনিয়ত সর্বস্তরের বিদ্যুৎ গ্রাহকগণকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ । বিশেষ করে উপজেলা পরিষদের আশপাশের গ্রাম,পাড়াগুলোতে এ দৃশ্য দিচ্ছে নিত্য যন্ত্রণা।

বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ বিদ্যুতের এ পরিস্থিতিতে তারা চরম ক্ষুদ্ধ। সকাল থেকে রাতে প্রায়ই সময় বিদ্যুৎ থাকছে না।,এমনিতেই বিদ্যুতের লুকোচুরিখেলা চলে সারাদিন । কিন্তু গতকাল রবিবার রাত ১০.০০ টা থেকে একটানা ভোর অব্দি বিদ্যুৎ না থাকায় উপজেলা সদরের ৪ নং ফিডারের অন্তর্ভুক্ত বাসিন্দারা পড়েছে বিড়ম্বনায়।দেখাযায় প্রতিনিয়ত দিনে ৪/৫ বার বিদ্যুৎতের লোডশেডিং লেগেই আছে কিন্ত কিছুদিন যাবত রাত ১২ টার পর বিদ্যুৎ চলে গেলে পরদিন সকাল ছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যায়না ।

এতে সর্বস্তরের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিদ্যুতের আসা যাওয়ার শেষ নেই।নেই কোন নির্দিষ্ট সময় সীমা। সর্বোপরি চাহিদামত বিদ্যুৎ যেন মানুষের কাছে দুর্লভ ও স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। তাদের মতে দিনে ও সন্ধ্যায় বিদ্যুতের লুকোচুরি তো আছেই। তার পরেও রাতে পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ অঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষ।

এলাকাবাসী জানান, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় ঘটছে ব্যাঘাত। এসময় বাচ্চাদের একটু বেশী কেয়ার নেয়া হচ্ছে কিন্তু প্রায় সময় সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ চলে যায় এতে করে বাচ্চাদের পড়ার মনোযোগ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।

গংগাচড়া হাসপাতাল সংলগ্ন উত্তর পাড়ার একাধিক ব্যাক্তি জানান,এলাকায় প্রায় সময় বিদ্যুৎ থাকে না। দিনে তেমন কোন সমস্যা না হলেও বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। রাত থেকে ভোর হয়ে গেলেও প্রায়দিন বিদ্যুতের কোন খবর পাওয়া যায় না। কতৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিল তো ঠিক সময়ে নিচ্ছে কিন্তু বিদুৎতের এ অবস্থা কেন?

বিদ্যুৎ বিভ্রান্তি কেন হচ্ছে এবিষয়ে জানতে গঙ্গাচড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম কে রবিবার রাতে অসংখ্যবার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। এমনকি কারণ জানতে পল্লী বিদ্যুৎ অভিযোগ নাম্বারে ফোন দিলেও তাদের কোন সারা পাওয়া যায়নি।

সচেতন অভিভাবক মহলের দাবি দ্রুত বিদ্যুতের উর্ধ্বোতন কর্তৃপক্ষ এবং উপজেলা প্রশাসন বিদ্যুতের এই লুকোচুরি খেলা বন্ধ করতে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন এই সময়ে বাচ্চাদের লেখা পড়ায় যাতে কোন ক্ষতি না হয় সে দিকে খেয়াল রেখে দ্রুত সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ যাতে থাকে সে বিষয়ে পল্লীবিদ্যুৎ (সমিতি-২) কতৃপক্ষ তাদের করনীয় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।