মণিরামপুরে মাযাহারুল আনোয়ার সহ পাঁচজনকে আসামি করে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। বুধবার কেশবপুর উপজেলার ডুয়াডাঙ্গা গ্রামের মুুকুন্দ মণ্ডলের ছেলে গোপাল চন্দ্র মণ্ডল বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, মণিরাপুরের দূর্বাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হামিদ গাজীর ছেলে (১৪নং দূর্বাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান) মাযাহারুল আনোয়ার, হরিণা গ্রামের নিতাই রায়ের ছেলে দীপক রায়, ঝিকরডাঙ্গা গ্রামের মৃত পাগল চন্দ্র রায়ের ছেলে প্রভাষ চন্দ্র রায়, কমল কান্তি রায়ের ছেলে সুধাংশু রায় ও শ্যামনগর গ্রামের অধীর বিশ্বাসে ছেলে সুবল বিশ্বাস।
আরো পড়ুন…
- মণিরামপুরে গৃহহীনদের ‘আশ্রয় প্রকল্পের ঘর’ পেল দ্বি-তল ভবনের মালিক!
- মণিরামপুরে একাধিক মালিকানায় নিজস্ব জমির ঘেরে দেওয়া মাছ জোর পূর্বক উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা
- যশোর মণিরামপুর বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে জন্মনিবন্ধন ডিজিটালাইজেশন এর বিপাকে সাধারণ জনগণ
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গোপাল চন্দ্র মণ্ডল ২০১৭ সালে দূর্বাডাঙ্গা মৌজার নড়েল বিলের ১০০ বিঘা জমি পাঁচ বছর মেয়াদে লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। চেয়ারম্যান মাযাহারুল আনোয়ারের ইন্ধনে নিউটন রায়, অলোক রায়সহ আসামিরা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দিলে ঘেরের মাছ লুট করবে বলে হুমকি দিতে থাকে আসামিরা। চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে চাঁদার টাকা না পেয়ে তারা ঘেরের অফিস ঘর পুড়িয়ে দেয়। পরের দিন গোপাল চন্দ্র মণ্ডল জুডিসিয়াল ও নির্বাহী আদালতে পৃথক মামলা করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম ২৫ ফেব্রুয়ারি গোপাল চন্দ্রকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় তার কাছে থাকা ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে বাকি টাকা এক মাসের মধ্যে দেয়ার নির্দেশ দেন। অন্যথায় তাকে ঘেরের ব্যবসা করতে দিবেন না বলে জানিয়ে দেন।
কলমকথা/𝙷𝙺𝚂
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।