রাকিবুল হাসান, মনপুরা প্রতিনিধি: ভোলার দ্বীপ উপজেলা মনপুরা। যেখানে দেড়লক্ষাদিক লোকের বসবাস।শতকরা ৮০%লোক জেলে। মেঘনা নদীর তে সেই জেলেরা দীর্ঘদিন সুতার জালে মাছ শিকার করতেন। কিন্তু এবারে ভিন্ন রুপ দেখা যাচ্ছে।
বর্ষার শুরুতে প্রতিবছর বরিশাল অঞ্চল থেকে বহিরাগত জেলেরা নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকার করেন। তাদের দেখাদেখি স্থানীয়রা নিষিদ্ধ এই কারেন্ট জালের দিকে দাবিত হচ্ছে। এখন মনপুরা মেঘনা নদীতে চলেছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে মাছ শিকার। এতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সঙ্গে ধরা পড়ছে জাটকাসহ পোনা। বেশি লাভের আশায় এ নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার করছেন জেলেরা।
তবে এবার মেঘনা দেখাদিয়ে ইলিশের অকাল। জেলেরা নিষিদ্ধ কারেন্ট জালেও তেমন কোন ইলিশ না পাওয়া বর্ষার প্রথম থেকে হতাশা হয়ে পরেন। দীর্ঘদিন থেকে বরিশাল কালীগঞ্জ,হিজলা,মুলাদী থেকে আসা জেলের অব্যাহতভাবে অবৈধ কারন্টে জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় জেলেরা। স্থানীয়রা বলেন পুলিশ কোস্ট গার্ড, মৎস্য অফিস কে মেনেজ করে প্রকাশে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে ইলিশ শিকার করেন বহিরাগত জেলেরা।
জেলেরা জানান, গতবছর এই বহিরাগত জেলেদের কে এই নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল যাতে মনপুরা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে না পেলতে পারে সেই জন্য বিভিন্ন জায়গা চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বহিরাগত জেলেরা নিষিদ্ধ জালে মাছ শিকার করতে পারলে আমরা পারবো না কেন..??? নিষিদ্ধ এই কারেন্ট জাল দিয়ে নদী মাছ শিকার করলে একসময় ইলিশ শূন্য হয়ে যাবে মেঘনা এমন প্রশ্নের উত্তর জেলেরা বলেন,আমরা নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করলে দোষ।
আর বহিরাগত জেলেরা প্রশাসনের নাগের ডগায় নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে ইলিশ শিকার করলে দোষ নাই। এখন পযন্ত কোন অভিযান তো দেখলাম না মৎস্য অফিসার ও কোস্টগার্ডের। দক্ষিণ সাকুচিয়া তালতলা ঘাটের মাছ ব্যাপারি সাত্তার জানান,দীর্ঘদিন বরিশাল থেকে অসাধু অসংখ্য জেলে কারেন্ট জাল দিয়ে মনপুরা এসে মাছ শিকার করেন।এতে প্রশাসন কোন ভূমিকা পালন করে না।
নিষিদ্ধ এই কারেন্ট জাল নদীতে ইলিশ শিকার করতে থাকলে আগামী ২-৩ বছরের মাঝে মেঘনা ইলিশ শূন্য হয়ে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে ইলিশের উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা করছে সচেতন মহল। জানা যায়, মনপুরা প্রায় ৬০ হাজার জেলে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ জেলে সুতার জাল দিয়ে মাছ শিকার করতেন।
কিন্তু এখন সবায় নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে তৈরী করতে ব্যাস্থ সময় পার করছেন। উপজেলার রামনেওয়াজ, হাজিরহাট, জংলার খাল,মাষ্টার হাট,জনতা বাজার,মাঝের ঘাট, তালতলা ঘাট গুলোতে কারন্টে জালের ব্যবহার হয়ে আসছে। দিন-দিন এ জালের ব্যবহার আরও বাড়ছে। কিন্তু কারেন্ট জালের ব্যবহার রোধে যথাযথ প্রদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,বহিরাগতদের দেখাদেখি বেশি মাছ প্রাপ্তির আশায় স্থানীয় জেলেরা সুতার জালের পরির্বতে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরছে।
সুতার জালে বেশি পুঁজি লাগে ইলিশ ধরা পড়ে কম এমন অভিজ্ঞাতা ও ধারণা থেকেই কারেন্ট জালে তাদের আগ্রহ। এখন প্রতি বছর কারেন্টজাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন জেলেরা। মনপুরা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন বলেন, মেঘনা নদীতে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছে শিকারে কোন প্রকার নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করতে না পারে সে লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অসাধু ব্যক্তিদের জেল জরিমানা করা হয়।
অভিযান চালিয়ে কারেন্টজালসহ সব অবৈধ জালে অগ্নিসংযোগ করে ধ্বংস করা হচ্ছে।কোন বহিরাগত জেলে যাতে এই উপজেলা নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে মাছ শিকার না করতে পারে সেই দিকে আমার একটি টিম মনিটরিং করছেন । সেই সাথে অসাধু জেলেদের কে আইনের আওয়তা আনা হবে ।
এবং স্থানীয় জেলেরা নিষিদ্ধ এই কারেন্ট জাল ব্যবহার করলে তাদের জাল আগুনে পুরে ধ্বংষ করা হবে এবং আইনের আওয়তা আনা হবে। ক্যাপশন –মনপুরা ক্ষমতাশীল ব্যাক্তিদের ছত্রছায়া প্রতিবছর অসাধু জেলেরা এই উপজেলা প্রকাশে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে ইলিশ শিকার করেন ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।