তৈয়বুর রহমান কিশোর, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ২০২১-২২ অর্থ বছরে বয়স্কভাতার বিশেষ বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা ঝড় বইছে বিভিন্ন মহলে। বিশেষ বরাদ্দের এ বয়স্কভাতা জেলার চারটি উপজেলার সব ইউনিয়ন পেলেও বোয়ালমারী উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মধ্যে একটি মাত্র ইউনিয়নে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এ জন্য বঞ্চিতরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন সব বয়স্ক লোক কি শুধু সাতৈর ইউনিয়নে বাস করে ? সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলামের গত ২৬ এপ্রিল স্বাক্ষরিত

৪১.০১.০০০০.০৪৯.১৬.০৪৫.২১.২৯৯ স্মারকের পত্র সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থ বছরে বয়স্তভাতা কর্মসূচির আওয়াতায় মন্ত্রণালয় হতে কিছু সংখ্যক ইউনিটে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দের তালিকা অনুযায়ী ফরিদপুর-১ সংসদীয় আসনের মধুখালী উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা, আলফাডাঙ্গা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বরাদ্দ দেওয়া হলেও বোয়ালমারী উপজেলার দশটি ইউনিয়নের মধ্যে শুধুমাত্র সাতৈর ইউনিয়নে বরাদ্দ দেওয়া দিয়েছেন।

এ উপজেলার প্রথম শ্রেণীর একটি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নে ভাতা বরাদ্দ থেকে বাদ পড়েছে। বরাদ্দ পাওয়া অপর উপজেলা হচ্ছে পাশের নগরকান্দা। সেখানেও ৬ ইউনিয়নে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।

মধুখালী, বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা উপজেলায় সমান ৩০০ করে মোট ৯০০ কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নগরকান্দা উপজেলা অবশ্য ২৩০টি কার্ড বরাদ্দ পেয়েছে। মধুখালি ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার সকল ইউনিয়নে বরাদ্দ পেলেও বোয়ালমারী উপজেলা প্রথম শ্রেণীর একটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়নে বরাদ্দ না দিয়ে শুধু একটি ইউনিয়ন সাতৈরে ৩০০টি কার্ড বরাদ্দ পেয়েছে। ​

বরাদ্দ না পাওয়া ঘোষপুর ইউনিয়নর নির্বাচিত চেয়ারম্যান নবাব হোসেন প্রশ্ন রাখেন উপজেলার সব বয়স্ক মানুষ কি শুধু সাতৈর ইউনিয়নে বসবাস করেন? ​সাতৈর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাফিউল আলম মিন্টু বলেন, আমি আমার ইউনিয়নের চাহিদা অনুযায়ী সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছিলাম।

সেই আবেদনে বরাদ্দ পেয়েছি। অন্যান্য ইউনিয়ন হয়তো পরে পেতে পারে। উপজেলা বয়স্কভাতা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রকাশ কুমার বিশ্বাস বলেন,

ঈদুল ফিতরের বন্ধের আগে চিঠি পেয়েছি। চিঠি পেয়ে বরাদ্দের বিষয়টি জানতে পারি। কিভাবে এ বরাদ্দ হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে কেউ উপরে তদবির করে আনতে পারে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ উর্ধতনদের সাথে আলোচনা হয়েছে।

বোয়ালমারী ​উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা ছিলোনা। আমরা কোন চাহিদাপত্রও এখনো পাঠাইনি। উপর থেকে যেটা দিয়েছে সেটা দেখলাম।

তবে আমি বিষয়টি নিয়ে উপরে কথা বলবো। যদি সব ইউনিয়নে ভাগ করে দেওয়ার প্রভিশন থাকে তাহলে অবশ্যই ভাগ করে দেওয়া হবে।