আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটে পাটগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক অধ্যক্ষ এম ওয়াজেদ আলীকে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে লালমনিরহাটের মিশনমোড় চত্ত্বরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আয়োজনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
লালমনিরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে একাত্মতা ঘোষণা করে এতে বক্তব্য রাখেন জেলা আঃলীগের সাঃ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ মতিয়ার রহমান,জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মজিবর রহমান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক, আদিতমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আজিজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আফছার আলী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, ‘হত্যাকান্ডে জড়িত চিহ্নিত আসামীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচার করতে হবে। এই হত্যার বিচার নিয়ে কোনো টালবাহানা করা হলে মুক্তিযোদ্ধারা ঘরে বসে থাকবে না। অস্ত্র জমা দিয়েছি কিন্তু ট্রেনিং জমা দেয়নি উল্লেখ করে তারা কঠিন ও কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।’ পরে মিশনমোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর একটি স্বারক লিপি প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহর অনুপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক টিএমএ মমিন এ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
এদিকে একই দাবীতে রবিবার সকালে পাটগ্রাম মহিলা কলেজের উদ্যোগে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে। পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা প্রধান আসামী নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবুকে গ্রেফতারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারকৃত আসামী আলমগীর হোসেন আব্দুল্লাহকে তিনদিনের পুলিশি রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘটনে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।’
উল্লেখ্য; গত শুক্রবার(২০জানুয়ারী) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌরসভার নিউ পূর্ব পারার নিজস্ব বাড়ীর সামনে সাবেক অধ্যক্ষ এম ওয়াজেদ আলী(৬৯) দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের দারা আহত হন।পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহত হন তিনি ।এ ব্যাপারে নিহতের ছোট ছেলে মোঃ রিফাত হাসান (২৯) বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।মামলার তদন্তে নেমে পাটগ্রাম থানা পুলিশ সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করলেও এজাহারভুক্ত মূল আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।